শোকস্তব্ধ! কথা ছিল ফিরে আসবে, আর আসা হলোনা, জল থেকে উদ্ধার হল নিথর দেহ

Published On:

 

অমিত সরকার, ঃকালিয়াগঞ্জে ঘটে গেল আবার এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যেখানে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক যুবকের। সকাল-সকাল ছট পূজার দিন এমন দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ কালিয়াগঞ্জ। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জ এর কালীবাড়ি সংলগ্ন এক নদী শ্রীমতি নদীতে। যেখানকার কিংবদন্তি রয়েছে যেখানে নানান ইতিহাস লুকিয়ে আছে তার জলে। সত্যি-মিথ্যা পরের বিচার্য। এখানেই প্রাণ হারিয়েছে একের পর এক জন। যে নদীর কোথায় গভীরতা বেশি তা বুঝতে না পেরে অনেক কিভাবে নদীতে এবং বিপদসীমা পেরিয়ে গেলে মৃত্যু হয় অচিরেই। কিন্তু এবারও তেমনি করে এমন এক দুর্ঘটনার শিকার হল কালিয়াগঞ্জ এক বাসিন্দা। যে কর্মরত শিলিগুড়িতে ছট পূজা উপলক্ষে বাড়িতে এসেছে। রেলকলোনি এলাকায় তার বাড়ি। ছেলেটির নাম অমিত পাশওয়ান। 23 বছর বয়সী সেই ছেলে। অবশেষে তার নিথর দেহটি যখন জল থেকে উদ্ধার হয় পুলিশ এবং প্রশাসনের তৎপরতায় ততক্ষণই তার দেহে হারিয়েছে প্রাণ। কিন্তু এই ছট পূজার মহিমা বাঙালির যেন এক মনের আবেগের সাথে মিশে রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাঙালির উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে আসছে। চারপাশে বিষণ্ণতা। এর মাঝেই শেষ গানের রেশ নিয়ে চলে এল ছট পুজো। ছট পুজো মূলত বিহারিরা শুরু করেছিলেন বহু বছর আগে। ছট মানে ছট মাইয়া। সূর্যের আরেক নাম। সূর্যকেই পুজো করা হয় ছট পুজোয়। কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যার পর ষষ্ঠীতে এই পুজো হয়।

পুজোর নিয়ম মেনে প্রথম দিন মহিলারা একবার কুমড়োর সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে ১২ ঘণ্টা উপবাসে থাকবে। তারপর খাবার খেয়ে ২৪ ঘণ্টা উপবাসে থাকবে, তারপর আবার খাবার খেয়ে ৩৬ ঘণ্টা উপবাসে থেকে জলাশয় অথবা নদীতে গিয়ে আবক্ষ জলে দাঁড়িয়ে সূর্য দেবতার কাছে নিজের মনের চাহিদা জানাতে হবে। ছট পুজোর কোনও মন্ত্র নেই। যার যে ভাষায় সূর্যের কাছে মনবাসনা জানানোর ইচ্ছে, তিনি সে ভাষাতেই বলবেন মনে মনে।

X