বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় তিন মাস অপেক্ষার পর এবারও রাজ্যের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা উঠল না সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। তবে এইদিন সময়ের অভাবে মামলাটির শুনানি হয়নি বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই টেনশন বেড়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে।
এইদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তালিকার ৬০ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ছিল এই মামলাটি। তবে আজ ৪০ নম্বর মামলার শুনানির পরেই বিচারপতিরা আদালত ছেড়ে চলে যান। মূলত সময়ের অভাবেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি হয়নি শীর্ষ আদালতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এই রাজ্যের সরকারি চাকুরিজীবীরা। ২০১৬ সালে প্রথম এই মামলা ওঠে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট)। এরপর মামলাটি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ।
আরও পড়ুন : আয় বাড়াতে ‘নাম বিক্রি’! মাত্র ৯ মাসে ৪৯% অতিরিক্ত মুনাফা কলকাতা মেট্রোর
সেবার হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এমনকি ডিএ প্রদানের জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালের ২০ মে মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখান থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন : চিনের ভয় আর ভারতের শক্তি! মাথা নত আমেরিকারও, এবার কী করবে পাকিস্তান?
এরপর সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগেই রিভিউ পিটিশন জমা দেয় রাজ্য। সেখানে বিশেষ সুবিধা করতে না পেরে রাজ্য সরকার পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাটিরই শুনানি হওয়ার কথা ছিল আজ। এর আগেও প্রায় ১১ বার মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছিল। তবে প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে মামলাটি পিছিয়ে যায়। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই ১২ তম শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।