বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চূড়ান্ত শুনানি শেষ হলেও সামনে আসেনি রায়। গত ৮ই সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে, আদালত রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাগুলির কী হবে?
আদালত অবমাননার মামলাগুলির ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা | Dearness Allowance
উল্লেখ্য, বর্তমানে, সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার স্ট্যাটাস “হিয়ার্ড এন্ড রিজার্ভ” রয়েছে। এর অর্থ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। এবার কথা হচ্ছে পূর্বে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাগুলির ভবিষ্যত কী হল?
আসলে ডিএ মামলা চলাকালীন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান কর্মচারী সংগঠন -ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ আদালত অবমাননার মামলা করে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডিএ বকেয়া না মেটানোয় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তারা আদালত অবমাননার মামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে, সরকারি কর্মচারী সংগঠনের করা এই তিনটি আদালত অবমাননার মামলার স্ট্যাটাস “পেন্ডিং” বা বিচারাধীন দেখানো হচ্ছে। অর্থাৎ ডিএ সংক্রান্ত মূল মামলার শুনানি শেষ হলেও, আদালত অবমাননার মামলাগুলির শুনানি এখনও হয়নি, পেন্ডিং রয়েছে। আইনজীবী মহলের মতে, মূল মামলার রায়দান হওয়ার পর এই তিন বিচারাধীন মামলার শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘স্থগিতাদেশ সম্ভব নয়’, মহুয়ার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট, স্বস্তিতে নিশিকান্ত দুবে
উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের ডেডলাইনের মধ্যেই সম্প্রতি বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্য বক্তব্য জানানোর এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ২৯শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য জানাবেন সুপ্রিম কোর্টে। তার তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় সামনে আসবে।