বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা (Dearness Allowance) একের পর এক মোড় নিচ্ছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) লিখিত বক্তব্য জমা করে রাজ্য জানায়, দেশের অন্তত ১২টি রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রদান করে না! এদিকে এরই পাল্টা তথ্যপ্রমাণ পেশ করল কর্মচারী সংগঠন ইউনিটি ফোরাম।
ডিএ মামলায় রাজ্যের পাল্টা বক্তব্য জানাল ইউনিটি ফোরাম | Dearness Allowance
কোন কোন রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় না, সেই তালিকাও সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে রাজ্য। ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল কোন কোন রাজ্যে ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআই (কনজ়্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) মেনে কর্মীদের ডিএ প্রদান করা হয় না। লিখিত বক্তব্যে সেই বিষয়ে উল্লেখ করে রাজ্য জানিয়েছে কেন্দ্রের ডিএ হার অনুসরণ করে না দেশের অন্তত ১২টি রাজ্য।
এদিকে ইউনিটি ফোরামের পাল্টা দাবি, রাজ্যের দাবি করা ১২টি রাজ্যের মধ্যে ৮টি রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের AICPI প্যাটার্ন অনুসরণ করে মহার্ঘ ভাতা দেয়। সিপিআই অনুসারে ডিএ দেয় না এমন রাজ্যের উদাহরণ হিসাবে, কেরল, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরার নাম উল্লেখ করা হয় রাজ্য সরকার তরফে।
ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা তালিকা জমা দিয়ে বলা হয়েছে ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের মতো রাজ্যগুলি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারী প্যাটার্ন মতোই DA দেয়। কিছু ক্ষেত্রে রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট (বকেয়া সহ) বা ল্যাগিং প্যাটার্নে (কিছুটা দেরিতে) দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় AICPI- কে ভিত্তি করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়।
বলা হয়েছে কর্ণাটক ও কেরালার মতো রাজ্যগুলি AICPI সূচক অনুসরণ করেই নিজেদের কর্মচারীদের DA দেয়। তেলেঙ্গানা কেন্দ্রীয় সরকারী প্যাটার্ন অনুসরণ করলেও, সেই রাজ্যের নিজস্ব গুণক রয়েছে। এই রাজ্যগুলির বিষয়ে ইউনিটি ফোরামের দেওয়া তথ্য ডিএ মামলায় কোন মোড় আনে সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।
আরও পড়ুন: শুক্রে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ দক্ষিণবঙ্গে, কবে কমবে বৃষ্টি? আবহাওয়ার খবর জেনে নিন
উল্লেখ্য, শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বিশেষ বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্য ও মামলাকারীরা রাজ্যের জবাবের প্রেক্ষিতে তাদের পালা বক্তব্য জানানোর তিন সপ্তাহ পর লিখিত জবাব দেখবে আদালত। তারপর ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় সামনে আসবে। যদিও কবে রায়দান হবে সেই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা হয়নি।