বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বারবার নিজের মন্তব্যে শিরোনামে উঠে এসেছেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি তথা দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। একসময় ওনার হাওড়ার বালি থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু দল ওনাকে প্রার্থী করে নি। বিধানসভার টিকিট না পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একদিকে যেমন দেবাংশুর ভক্তরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেবাংশুকে নিতে ট্রোলের বাহার দেখা যায়।
যদিও দেবাংশু টিকিট না পাওয়ায় হতাশ ছিলেন না, বরঞ্চ তিনি বলেন দিদি আমার জন্য ভেবে শুনেই কিছু করেছে। দেবাংশু এও বলেছিলেন যে, আমি প্রার্থী হলে একটি বিধানসভা কেন্দ্রে আটকে থাকতাম, আর দিদি সেটা চায়নি। দিদি চেয়েছেন আমি রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করে বেরাই। আর সেই কারণে উনি আমাকে প্রার্থী দিয়ে আমাকে সীমানায় বেঁধে রাখেন নি।
এছাড়াও দেবাংশু বয়সের তত্ত্বও তুলে ধরেছিলেন। ওনার হিসেবে একজন ২৫ বছরের বাচ্চা নির্বাচনের টিকিট পেতে পারে না। টিকিট না পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলারদের বারবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মোক্ষম জবাবও দিয়েছিলেন দেবাংশু। আর এবার দেবাংশুর আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। ‘খেলা হবে” গানের স্রষ্টা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে ওই ভিডিওতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে।
একটি দৈনন্দিন বাংলা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের কিছু কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন কীভাবে একজন সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে উঠলেন। তিনি এও বলছেন যে, তিনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তেন, তখন ওনার সহপাঠীরা খেলোয়াড় এবং রেসলারদের ছবি জড়ো করত। কিন্তু দেবাংশু স্রোতের উল্টোদিকে ভেসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জড়ো করতেন।
সাংবাদিক যখন দেবাংশুবাবুকে প্রশ্ন করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কেন? অন্য কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আপনি এত ভালোবাসেন নি কেন? তখন দেবাংশুবাবু বলেন, ‘আমার বিশ্বাস পৃথিবী তৈরি হওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তি কখনো আসেন নি। এবং আগামী ১০০ বছরেও দ্বিতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেউ আসবেন না।”