যারা বনধ ডাকে তারাই হাজিরা চায়? বাম সরকারের বিজ্ঞপ্তি সামনে এনে তোপ দেবাংশুর

Published on:

Published on:

Debangshu Bhattacharya mocks CPM strike

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ, বুধবার কেন্দ্রীয় শ্রম কোডের বিরোধিতায় দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলি। দেশের একাধিক প্রান্তে সেই বনধের প্রভাব স্পষ্ট। ব্যাহত হয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থা, ট্রেন ও বাস পরিষেবা। কিন্তু বাংলা রয়েছে পুরোপুরি সচল। কারণ, রাজ্যে বনধ সংস্কৃতি কার্যত অতীত, যার বদলে এসেছে কাজে যাওয়ার সংস্কৃতি। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন বিতর্ক—কেরলের ফরমান ঘিরে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।

বাম ডাকে বনধ, বামই দেয় হাজিরার নির্দেশ!

কেরলের বাম সরকার স্পষ্ট নির্দেশ জারি করেছে—ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা (attendance) বাধ্যতামূলক। আর সেই নির্দেশের ছবি পোস্ট করে দেবাংশু লিখেছেন, “ভাবছেন এটা বাংলার নবান্নের নোটিস? না, এটা কেরল সরকারের!” ধর্মঘট ডেকেছে যাঁরা, তাঁরাই আবার নিজেদের রাজ্যে কাজ চালিয়ে যেতে বলছেন—এই দ্বিচারিতার দিকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র। পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন এক ভিডিও (video) ক্লিপও।

নবান্ন বনধে বিশ্বাস করে না, এই বার্তাই বাংলার

দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) জানান, ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল সরকার স্পষ্টভাবে বনধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকারি অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক, নইলে শাস্তির বিধান (disciplinary action) থাকে। তাঁর মতে, বনধ মানেই কর্মনাশা (work disruption), আর তার কুফল ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকেই। তাই যে রাজনৈতিক দলই ডাকে না কেন, বাংলার মানুষ এখন আর বন্‌ধে সাড়া দেয় না।

দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) মতে, বামেদের ডাকা বন্‌ধ লোক দেখানো প্রতিক্রিয়া ছাড়া কিছু নয়। তিনি বলেন, “নিজেদের রাজ্যে চাকরি চালিয়ে রাখবে, আর অন্য রাজ্যে নাক গলাবে? মানুষ সব বোঝে।” কেরলের ফরমান সামনে আসতেই তৃণমূলের নেতারা বামদের নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন।Debangshu Bhattacharya mocks CPM strike

আরও পড়ুনঃ “বামেরা বদলায় না, মঞ্চ বদলায়”—ধর্মঘট ঘিরে বিস্ফোরক তোপ কুণালের

বামেদের বনধ এখন অতীত, বাংলায় চলছে কাজ

তৃণমূল নেতার (Debangshu Bhattacharya) মতে, “বাংলায় এখন কর্মই ধর্ম।” বনধ রাজনীতি আর মানুষের মুঠোয় নেই। সাধারণ মানুষ চায় শান্তিতে অফিস করতে, রোজগার চালাতে। আর বাংলার শাসকদল সেই পরিবেশ নিশ্চিত করছে বলেই কোনও বনধই আর কার্যকর হচ্ছে না। কেরলের ঘটনা যেন বামেরা নিজেরাই নিজেদের জালে পড়ছে।