বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হুলস্থূল শুরু হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের তিন নেতা মন্ত্রীকে সকাল সকাল গ্রেফতার করার পর রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়ে গিয়েছে বাংলায়। তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হচ্ছে যে, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে তাঁদের বিধায়ক-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরেকদিকে, বিজেপি তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে, প্রতিহিংসার রাজনীতি তৃণমূল করছে বিজেপি না। এই ঘটনায় বিজেপি অথবা রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
আরেকদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে এও দাবি করা হচ্ছে যে, যেই অপরাধে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা আজ গ্রেফতার হয়েছেন, সেই একই অপরাধ করে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী এখনও কেন মুক্ত? বিজেপি জানিয়েছে, সিবিআই আদালতের নির্দেশ মেনে যা করার করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, বিজেপির কোনও যুক্তিই মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
আর এরই মধ্যে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের এই বিষয়ে বড় বয়ান সামনে এসেছে। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজের ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এও বলছেন যে, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল? তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আর শুভেন্দু অধিকারী হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই কারণেই এদের গ্রেফতার করা হয় নি।
দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, গোটা দেশে করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গঙ্গায় লাশ ভাসছে, হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, শ্মশানে জায়গা নেই … আর সেই কারণে মানুষের নজর ঘোরাতে তৃণমূলের নেতা-বিধায়কদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যাতে আগামী ৭ দিন আঞ্চলিক এবং জাতীয় মিডিয়াগুলো এই কাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর গঙ্গায় আরও লাশ ভাসতে পারে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা