বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে বহুদিন জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বহুবার জামিনের কাতর আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি তিনি। গতকালই ব্যাঙ্কশাল আদালতে ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয় পার্থর। এবার পার্থ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacherjee)।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে এক জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সভা থেকে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন দেবাংশু। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের গ্রেফতারির স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছিলেন, এই প্রসঙ্গ উঠে এলে তার জবাব দেন তিনি।
ঠিক কী বললেন দেবাংশু? তিনি বলেন, “স্বাভাবিক ভাবে তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, তাই নাম রয়েছে। কিন্তু প্ৰশ্ন হচ্ছে প্রভাবশালী তত্ত্বে দিয়ে অনেক জনকেই আটকে রাখার চেষ্ঠা হয়েছে। তার মধ্যে সুলতান আহমেদ ও তাপস পাল ছিলেন। তাঁরা তো মারাই গেলেন অত্যাচারে। কিন্তু আমরা জানতেই পারলাম না তাপস পাল, সুলতান আহমেদরা দোষী কি দোষী নন। আমরা চাই তদন্তের নামে কাউকে আটক রাখার পক্ষে আমরা নই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল সরিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা বলতে চাই আমার আমাদের কাজ করি। ইডি তাদের কাজ করুক।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পার্থ মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে এই সময় আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুনানিতে উঠে আসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ। বিদ্যাসাগরের সাথে পার্থর তুলনা টেনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আদালতে জোর কটাক্ষও করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতে ইডি বলে, বিদ্যাসাগর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আর পার্থ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থবাবু। তবে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় মহামান্য আদালত। প্রভাবশালী তত্ত্বের ভিত্তিতে খারিজ হয় পার্থর জামিন। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম থেকেই প্রভাবশালী। গ্রেফতারের পরও তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নিজের অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দিয়েছিলেন। কোনটা উদ্যেশ্যপ্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে।”