বাংলাহান্ট ডেস্ক : গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালে আসাই বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকায়। জানা যাচ্ছে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঢুকে চিকিৎসককে হেনস্থা করেছেন হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাস। অভিযোগ, তারপর থেকেই হাসপাতালে আসা বন্ধ করে দেন ওই চিকিৎসক
হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে বিগত সাত বছর ধরে কর্মরত দেবাংশু সরকার। দেবাংশুবাবুকেই হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত্রিবেলা জরুরী বিভাগে আসেন এক রোগী। তাঁকে নিয়েই চিকিৎসকের সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয় চায়না বিশ্বাস ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে। এরপরেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন চায়না। এর সঙ্গে দলবল নিয়ে চিকিৎসককে স্থানান্তরিত করার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। এরপরই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ছুটির আবেদন লেখেন ওই চিকিৎসক। তারপরেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চলে যান তিনি।
পরবর্তীতে, দেবাংশু সরকার এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান বিএমওএইচ প্রণব মল্লিকের কাছেও। জানা যাচ্ছে সেই চিঠিতে তিনি দুর্ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করেছেন। রোগীর রিপোর্ট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নাকি তাঁকে প্রভাবিত করা চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এলাকার বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাগদা হাসপাতালে গত শনিবার রাত্রি বারোটার পর সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামী যান। এক রোগীকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে নিগ্রহ করে তৃণমূল। এরপর চিকিৎসককে বিভিন্ন ভাবে হুমকিও দিতে থাকেন। পরে ভয় পেয়ে সেই চিকিৎসক বিএমওএইচ-কে চিঠি লিখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।’
অন্যদিকে চায়না বিশ্বাস জানান, ‘আমার সঙ্গে এসব কিছুই হয়নি। ঝামেলা যা হয়েছে তা রোগীর পরিবারের সঙ্গে। ফোনে কথা বলেই বিষয়টি উনি তাঁর রিপোর্ট করে দিয়েছেন। আর যাদের আঘাত লেগেছে তাঁরাও এসেছিলেন হাসপাতালে। তবে তাঁদের রিপোর্ট আর নেওয়া হয়নি। তখন ওই পেসেন্ট আমাকে ফোন করে ঘটনাটা জানায়। আমি ঘটনাস্থলে যাই। তখনই আমি বলি যে আপনি একজনের রিপোর্ট নিয়েছেন অথচ অপরজনের রিপোর্ট নেননি কেন? এটা তো ঠিক নয়। সেই নিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক।’