বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির যেসব নক্ষত্র অকালে হারিয়ে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন মহুয়া রায়চৌধুরী (Mahua Roychowdhury)। অনবদ্য রূপ আর এই অভিনয় প্রতিভা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে হঠাৎ করেই বিদায় নিলেন তিনি, চিরবিদায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে আজো ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। মহুয়া রায়চৌধুরীকে যাঁরা কাছ থেকে দেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন দেবশ্রী রায় (Debasree Roy)। অভিনেত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মৃতিতে ডুব দিলেন দেবশ্রী।
আজকের দেবশ্রী রায় ছোটবেলায় দিদির সঙ্গে রুমকি চুমকি নাম নিয়ে মঞ্চে নাচ করতেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম পরে বদলে যায় দেবশ্রীতে। সেই ছোট্টবেলায় তাঁর আলাপ মহুয়ার সঙ্গে। তিনিও সোনালি রায়চৌধুরী নাম নিয়ে নাচ করতেন অ্যামেচার ক্লাবের অনুষ্ঠানে।
পরবর্তীকালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন দেবশ্রী আর মহুয়া। সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্মৃতিচারণ করে অভিনেত্রী বলেন, তাঁদের বয়সের পার্থক্য বেশি হওয়ায় তাঁর মায়ের সঙ্গেই বেশি কথা বলতেন মহুয়া।
স্বামী তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দেবশ্রীর প্রশ্ন, মহুয়া রায়চৌধুরী কি আদৌ নিজের সংসার জীবনে সুখী ছিলেন? কারণ তিনি নাকি খুব রগচটা ছিলেন। মাথা গরম হয়ে গেলে নাকি গালিগালাজও করে বসতেন। কিন্তু অভিনয় করার সময়ে সেসব বোঝাই যেত না। তখন তিনি সম্পূর্ণ অন্য রকম একজন মানুষ।
মহুয়া রায়চৌধুরীকে কাছ থেকে দেখে একটা কথা বুঝেছিলেন দেবশ্রী, অভিনেত্রী হয়তো সংসারে ততটা মনোযোগী ছিলেন না। অত্যন্ত জরুরি জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলতেন। একবার দেবশ্রীর কাছেই মেকআপ বক্স চেয়েছিলেন। তবে সংসারী না হলেও ছেলে গোলাকে চোখে হারাতেন মহুয়া। দেবশ্রী আর তাঁর স্বভাব আলাদা হলেও পর্দার বোনকে বাস্তবেও খুব স্নেহ করতেন মহুয়া রায়চৌধুরী। দেবশ্রীও দিদির সম্মান দিয়েছেন তাঁকে।
১৯৮৫ সালে আজকের দিনেই প্রয়াত হন মহুয়া রায়চৌধুরী। গায়ে আগুন লেগে গিয়েছিল। কীভাবে তা জানা যায়নি। রহস্য ভেদ হয়নি এখনো। আক্ষেপ করেই দেবশ্রী বলেন, আরো অনেক কাজ করার ছিল মহুয়া রায়চৌধুরীর। কিন্তু সবথেকে প্রিয় ছেলেকে ফেলে রেখেই বিদায় নিলেন তিনি।