বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসলে রাজনীতির সমীকরণটা বোধহয় একটু এমনই। কখন যে কে কার দিকে যায় তা বোঝা বেশ কষ্ট সাধ্য। যে দেবশ্রী একদিন হঠাত্ করেই বিজেপিতে যোগ দেবেন এমনটা নিশ্চিত করে দিল্লীর সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন সেই দেবশ্রী এখন দিদির ঘনিষ্ঠ বলে রব তুলেছে। শুধু কি তাই, দিদিকে বলো কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
একসময় দিদির কাণনের সঙ্গে দারুন ভাব ছিল। বন্ধুত্ব ছিল গভীর, কিন্তু এখন সম্পর্ক আদায় কাঁচকলা। একসময় রত্নার সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও মাঝে একেবারে বন্ধ। তবে আবারও যোগাযোগ রাখবেন না তা তো নয়। তাই এবার রত্নার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বোধ হয় দেবশ্রী, এমনটাই মনে হয়। কারণ, সংবিধান দিবসের দিনই রত্নার বাবা দুলালের সঙ্গে বিধানসভার লবিতে বসে দীর্ঘক্ষণ দেখা গেল দেবশ্রীকে। পরে তিনি রত্নার সঙ্গে দেখা করতে চান বলে রাফসাফ জানিয়েদিলেন।
তবে অনেকেরই মনে হতে পারেন, তিনি কেন রত্নার সঙঅগে কথা বলার জন্য বাবাকে বললেন। আসলে রত্না শোভনেরসম্পর্ক নিয়ে নতুন করে তো কিছু বলার নেই। এরই মাঝে শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর বন্ধুত্ব বাড়তেই দেবশ্রী শোভনের সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ে আর তারপর কে রত্না, কে দেবশ্রী, কে শোভন সকলেই আলাদা হয়ে যায়। এবার তাই একদিকে শোভন বৈশাখী থাকলে অন্যদিকে দেবশ্রী ও রত্না হতে পারে জোট। তাই বাবা দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় দেবশ্রীকে আশ্বস্থ করে রত্নার সঙ্গে কথা বলিযে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তবে এদিকে বিজেপিতে যোগ দিলেও দলের সঙ্গে সেভাবে ভাব নেই শোভনের। তারপরে আবার রাজ্য সরকারের তরফে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা, ভাইফোঁটাতে দিদির কাণনদিদির বাড়িতে গিয়ে ফোঁটাও নিয়েছেন। তাই তাঁর তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জোর গুঞ্জন। এরই মধ্যে আবার দলে আছেন দলেই থাকবেন বলেছেন দেবশ্রী। তার ওফরে রত্নার সঙ্গে যোগাযোগ, সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক নতুন আভাস বলাই যায়।