বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঋণ মকুব করা হয়নি। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করছেন না, তাঁদের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপের তালিকায় আনা হয়েছে মাত্র। ঋণের টাকা উশুল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitharaman)। মেহুল চোকসি, নীরব মোদি, বিজয় মালিয়াদের ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ অনুৎপাদক সম্পদের হিসেবের খাতা থেকে মুছে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
মঙ্গলবার রাতে একগুচ্ছ টুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে সরকার। কোনও ঋণ মকুব করা হয়নি। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসি-সহ আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৯,৯৬৭ টি মামলা রুজু হয়েছে। ৩,৫১৫ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের থেকে ১৮,৩৩২.৭ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সোমবার কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, নীরব, মালিয়া-সহ ৫০ জন ঋণখেলাপির ৬৮,৬০৭ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছে এনডিএ সরকার। তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া (RBI) যে জবাব দিয়েছিল, সেটিকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬.৬৬ লাখ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছে। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জবাব চেয়েছিল তারা।
প্রত্যুত্তরে মালিয়া, নীরব, চোকসির বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্লজ্জভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। বরং ইউপিএ জমানায় ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি ১,৪৫,২২২ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজনের (Raghuram Rajan) বক্তব্য উদ্ধৃত করে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, ২০০৬-০৮ সালের মধ্যে বড় সংখ্যক ‘বাজে’ ঋণ দেওয়া হয়েছিল। ‘অনেক প্রোমোটারদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল, যাঁদের ঋণখেলাপির ইতিহাস রয়েছে’ বলে জানান অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এই (ঋণ) মকুবগুলো কী ছিল, তা নিয়ে মনমোহন সিংয়ের (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে যদি শ্রী রাহুল গান্ধী পরামর্শ করতেন।’