ঋণ মাফিয়াদের অত্যাচারে শেষ হয়ে গেল হাসিখুশি পরিবার, ছেলে স্ত্রী সহ আত্মঘাতী হলেন ব্যবসায়ী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঋণের জালে জড়িয়ে শেষ হয়ে গেল গোটা পরিবার। জয়পুরের (Jaipur) এক মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনায় ভয়ে সিটিয়ে থাকল গোটা এলাকা। ঋণ মাফিয়াদের অত্যাচার কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা সহ্য করতে না পেরেই পরিবারের চারজনেই আত্মহত্যা করে নিলেন।

ঘটনার বিবরণ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিহারে ৪৫ বছর বয়সী যশোবন্ত সোনি, তাঁর ৪১ বছর বয়সী স্ত্রী মমতা এবং দুই ছেলে অজিত (২৩) এবং ভরত (২০) বসবাস করতেন। তারা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে,না পেরে আত্মহত্যা করে নেয়। শনিবার সকালে তাঁদের না দেখতে পেয়ে, আশেপাশের আত্মীয় স্বজন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোন উত্তর পায় না। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায়, জানলা দিয়ে উঁকি মেরে তারা গোটা পরিবারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আতকে ওঠে।

photo 28

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ
এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে তাঁদের মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। প্রতিবেশীদের থেকে জানা গেছে, যশোবন্ত গহনার কাজ করতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে রাতের দিকে তাঁদের বাড়িতে কিছু লোক আসত। টাকা পয়সা সংক্রান্ত কথা চলত তাঁদের মধ্যে।

মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে
পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই ছেলের পা বাঁধা এবং মহিলার চোখ বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করে যশোবন্তের ঝুলন্ত দেহ। তবে তাঁদের পা এবং চোখ কেন বাঁধা ছিল, সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেএনইউ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।

19 sep 2 1600498680

ঋণের বোঝাই আত্মহত্যার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে
ঘটনাস্থলে পৌঁছে অতিরিক্ত এসপি মনোজ চৌধুরী চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিবার গহনার কাজ করত। ব্যবসার প্রয়োজনে মাফিয়াদের থেকে অনেক টাকা সুদে ধার নিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই টাকা শোধ দিতে না পারায় তাঁদের চাপে শেষ পর্যন্ত এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

প্রসঙ্গত, এক মাস আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যশোবন্ত। হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও, হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বাঁচানো হয়।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর