বাংলাহান্ট ডেস্ক: জেএনইউ কাণ্ডে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিবাদে সাহস যোগানোর জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন দীপিকা পাডুকোন। তাঁর ছবি ‘ছপক’ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছপক বয়কট করারও দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা না হলেও এর জেরে যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়েছে দীপিকার ছবি। প্রথম দুদিনের আয়ের হিসাবে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ছপক। এতেও রক্ষা নেই। এবার কোপের মুখে দীপিকার ব্র্যান্ড ভ্যালু।
অভিনেত্রীকে নিয়ে এই টানাপোড়েনের জেরে সতর্ক হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডগুলোর বিজ্ঞাপনে দীপিকার মুখ দেখা যায়, অর্থাৎ তিনি এই ব্র্যান্ডগুলির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এই তালিকায় রয়েছে লরিয়েল, তনিষ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ব্রিটানিয়া গুড ডের মতো বেশ কয়েকটি নামজাদা সংস্থা। এই সবকটি ব্র্যান্ডের মূল্য প্রায় ১০০ কোটিরও ওপরে।
রাজনৈতিক বিতর্কে দীপিকার নাম জড়ানোর পর ধন্দে পড়ে গিয়েছে এই ব্র্যান্ডগুলি। ঝুঁকি নিতে ভয় পাচ্ছে তারা। দীপিকার নাম আপাতত কম দেখাচ্ছে তারা। একটি সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছুদিনের জন্য বিজ্ঞাপনে দীপিকার মুখ কম দেখাবে তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের কাছে আর উপায় নেই। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে কোনও তারকার সঙ্গে চুক্তির আগে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে নিতে পারে সংস্থাগুলি।
শুধু দীপিকা নয়, এর আগে আমির খানের জন্যও একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল স্ন্যাপডিলকে। তিনি একসময় ভারতকে “অসহিষ্ণু ” বলেছিলেন, যে কারনে ক্ষিপ্ত হয়েছিল ভারতে অধিকাংশ জনতা। অভিনেতা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার দরুন সেই কোপ গিয়ে পড়ে স্ন্যাপডিলের ওপর। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ন্যাপডিল বয়কট করার দাবি উঠলে বাধ্য হয়ে আমিরকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পদ থেকে সরিয়ে দেয় সেই সংস্থা।