বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুলিশের তদন্তে বোরখা (Burqa) কখনোই বাধা হতে পারেনা। মামলাকারী মুসলিম মহিলার অভিযোগ খারিজ করে বড় রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট (High Court)। সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণী একটি মামলা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। যেখানে তিনি বলেন, দেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বোরকা পরা মহিলাদের অধিকারের প্রতি পুলিশের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
যদিও অভিযোগকারিণীর এই দাবি এককথায় নাকচ করেছে দিল্লির হাইকোর্ট। এইদিন বিচারপতি স্বর্ণ কান্ত শর্মার এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি জানিয়ে দেন, পুলিশের তদন্তে গোপনীয়তার কোনও স্থান থাকতে পারে না। দেশের নিরাপত্তার খাতিরে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আসল অভিযুক্তদের শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে বোরকা তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এখানেই শেষ নয়, এইদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেয়, এই ধরণের ধর্মীয় অনুশীলন বা ব্যক্তিগত পছন্দের আড়ালে বেআইনি ক্রিয়াকলাপের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন রাকাব গঞ্জ এলাকায় একটি ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিল্লি পুলিশ। দ্বিপাক্ষিক এই ঝামেলায় আহতও হয়েছেন দু’জন।
আরও পড়ুন : বঙ্গে বাড়বে বিজেপির ভোট! গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত সমীক্ষায়, বিরাট ক্ষতি তৃণমূলের
এই ঘটনাতেই রেশমা নামের এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি সম্পর্কে রেশমার দাদা। পুলিশের ভাষ্যমতে, রেশমা তখন বারান্দা থেকে রাস্তার সব কিছু দেখছিলেন এবং পর্দাহীন ছিলেন না। দিল্লি পুলিশের মতে, রেশমা নাকি পাল্টা আক্রমণের ভয়ে নিজেই থানায় যেতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : ব্যাক টু ব্যাক সভা! আরামবাগ, কৃষ্ণনগরে কী এবার ফুটবে পদ্ম? বড় দাবি সমীক্ষায়
যদিও রেশমা এবং তার আইনজীবীর দাবি, এইদিন ভোর তিনটার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তাকে টেনেহিঁচড়ে চাঁদনী মহল থানায় নিয়ে যায়। আইনজীবী বলেন, পুলিশ সদস্যরা রেশমাকে পর্দা করারও সময় দেয়নি। এবং এই অভিযোগ নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেশমা। যদিও হাইকোর্টের তরফে এই মামলা খারিজ করা হয়।