বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে দিনরাত এক করে রোগী সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন চিকিৎসকরা। এই রোগের ক্ষেত্রে প্রধানত কার্যকরি হচ্ছে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। তবে এই চিকিৎসার খরচও বেশকিছুটা ব্যয় বহুল। তবে বর্তমান সময়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চললেও, এই চিকিৎসার উপরই ভরসা রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। সেইসঙ্গে চলছে নানা পর্যায়ের পরীক্ষা নিরিক্ষা। তবে এই আবহে জানা গিয়েছে, এমন এক আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে এখনও অবধি একজন করোনা রোগীও মারা যাননি। যারাই সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও, এই সংকটের দিনে অন্য উপায় না থাকায়, রোগীকে সুস্থ করতে অ্যালোপ্যাথিক হাসপাতালে ছুটছেন পরিজনরা। তবে এই করোনা আবহই শুধু নয়, অন্যান্য সকল সময়েই এই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার উপর ভরসা করেই থাকেন দেশের সিংহভাগ মানুষ। পাশাপাশি এই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নির্মাণকারী কোম্পানিগুলির বেশিরভাগই বহির্বিশ্বের হওয়ায়, বেশিভাগ অর্থই দেশের বাইরে চলে যায়।
তবে বর্তমান সময়ে রক আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের নাম সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে, যেখানে আয়ুর্বেদিক উপায়ে করোনা রোগের চিকিৎসা করিয়ে সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউশন অফ আয়ুর্বেদের (AIIA) এই চমৎকারে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।
এই নবনির্মিত আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে বেড সংখ্যা খুব কম হলেও, ইতিমধ্যেই ৬০০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৪০ জন আয়ুর্বেদিক এবং ৫ জন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক রয়েছেন এই হাসপাতালে। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০-১৪ দিনের মধ্যেই এখানে একজন করোনা রোগিকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।