বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লী দাঙ্গার (Delhi Riot) তদন্ত করা পুলিশ বিদেশী ফান্ডিং এর সুত্র পেয়েছে। হিংসায় এক অভিযুক্ত মালয়েশিয়া গিয়ে বিবাদিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েকের (zakir naik) সাথেও সাক্ষাৎ করেছিল। নর্থ-ইস্ট দিল্লীতে হওয়া হিংসার তদন্তে থাকা দিল্লী পুলিশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড স্পেশ্যাল সেল UAPA-এর অন্তর্গত মামলা দায়ের করেছে। স্পেশ্যাল সেল আদালতে এফিডেভিট দাখিল করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে।
স্পেশ্যাল সেল UAPA অনুযায়ী হিংসার মাস্টারমাইন্ড খালিদ সৈফিকে গ্রেফতার করেছে। খালিদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে স্পেশ্যাল সেল। আর সেই পাসপোর্ট ডিটেলস দেখে জানতে পেরেছে যে, অভিযুক্ত খালিদ মালয়েশিয়ায় গিয়ে বিতর্কিত ইসলামিক ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের সাথে সাক্ষাৎ করেছিল। এটা সেই খালিদ, যে হিংসার আগে আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হুসেইন আর জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে এই হিংসার ষড়যন্ত্র কষা হয়।
স্পেশ্যাল সেল হিংসায় গ্রেফতার তাহির হুসেইন আর JNU-এর প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের ঘনিষ্ঠ খালিদ সৈফির আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করছে। স্পেশ্যাল সেল অনুযায়ী, নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়া আর হিংসার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইশরাত জাহানও ফান্ড পেয়েছিল, আর এবার তাকেও সন্দেহের দায়রায় রাখা হয়েছে। যেই রুট থেকে টাকা এসেছিল, সেটি সন্দেহজনক। আর এবার এটির তদন্ত হচ্ছে।
ইশরাত জাহানকে গাজিয়াবাদ আর মহারাষ্ট্রে থাকা তাঁর কিছু আত্মীয় ফান্ড দিয়েছিল। যারা ফান্ড দিয়েছিল, তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ওভিজুক্ত খালিদ সৈফিকে হিংসার জন্য সিঙ্গাপুরের এক NRI টাকা পাঠিয়েছিল। এই টাকা খালিদের NGO তে ট্র্যান্সফার হয়েছিল। খালিদ মেরঠের বাসিন্দা, আর নিজের পার্টনারের সাথে একটি NGO চালায়। স্পেশ্যাল সেল অনুযায়ী, এখনো খালিদের মোবাইল খোলা সম্ভব হয়নি। মোবাইল আনলক করা হলেই, বড় তথ্য সামনে আসবে।