বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমেও দোসর বৃষ্টি। অষ্টমীতে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এই আবহাওয়ায় বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এই বছরের গোড়া থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮৫। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে ৬৬২ তে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র সাত দিনে নতুন করে ৭৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে ডেঙ্গির (Dengue) প্রভাব বৃদ্ধির ওসম্ভাবনা
গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাত কমলেও তার আগে চলেছে টানা বৃষ্টিপাত। সেই বৃষ্টির জমা জল থেকে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার একাংশের অভিযোগ, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক বাসিন্দা এখনও জল জমিয়ে রাখছেন। বিশেষত আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। পুজো উদ্যোক্তাদের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না বলে এমন অভিযোগ এসেছে।
মশা বাড়িতে রোগের বৃদ্ধি রুখতে পুজো কমিটি গুলোকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা
পুজোর পরে মশাবাহিত রোগের (Dengue) বৃদ্ধি রুখতে গত ২৫ আগস্ট পুজো কমিটিগুলিকে চিঠি দিয়েছিল পুরসভা। চিঠিতে বলা হয়েছিল, মণ্ডপের চারপাশে জল জমতে দেওয়া যাবে না, বাঁশের ওপরে খোলা অংশ ঢেকে রাখা বা বালি দিয়ে ভরাট করা, খোলামেলা জায়গায় নিয়মিত রাসায়নিক স্প্রে করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ৮০ শতাংশ উদ্যোক্তা এই নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ। মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে পুরকর্তারা জল জমে থাকা, বাঁশের মুখ খোলা দেখতে পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে পুনরায় উদ্যোক্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাসের বক্তব্য, “পুজোর সময়েও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মণ্ডপের আশপাশে যথাযথ নজরদারি না থাকলে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ার প্রবল আশঙ্কা।” ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর কর্তা শাশ্বত বসু জানান, “আমরা যতটা সম্ভব পদক্ষেপ করছি। কোথাও খামতি থাকলে পুরসভার নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ মহাসপ্তমীতেও শুভেচ্ছার বার্তা, ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখা গান শেয়ার করলেন মমতা
দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি ঝুঁকি বেশি
উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গির (Dengue) ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দাদের মধ্যে ফ্রিজের ট্রে, পরিত্যক্ত ফুলের টব, বাড়ির ছাদে জল জমিয়ে রাখায় ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে বলে পুরকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, অনেক শহরবাসী পুরসভাকেই দায়ী করছেন। ফাঁকা জমি, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ডাব, চায়ের কাপ সরানোর দায়িত্ব কার, এসব প্রশ্ন করছেন তারা। পুর কমিশনার ধবল জৈন বলেন, “ডেঙ্গি রোধে নাগরিকদের সচেতন করার পাশাপাশি পুরসভার নজরদারিতেও কোনো খামতি নেই।”