দৈনিক উপার্জন ৪৫০ টাকা, উপপ্রধান হলেও এখনও রাজমিস্ত্রির কাজ করেই দিন চলে মানববাবুর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্ষমতার অলিন্দে থেকেও তিনি রয়েছেন জনসাধারণের মধ্যে। শাসক দলের বিশেষ পদে থাকার পরেও নিয়মিত কাটছেন মাটি, বানাচ্ছেন ঘর। কাজ করতে গিয়ে দোতলা থেকে পড়ে যাওয়ার কথা এখনও তিনি ভোলেননি। সেই ২০০৭ সালের ২৬ জানুয়ারি। বহরমপুরের ভাকুড়ি ঘোষ পাড়ার ঘটনা। মানব কবিরাজের কথায়, “বাঁশের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলাম। দোতলার উপর সেন্টারিং-এর কাজ। আচমকা দোতলার উপর থেকে নীচে কী ভাবে পড়ে গেলাম বুঝতে পারলাম না। পরে টানা হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়েছি।”

তাঁকে এখন অনেকেই চেনেন। কারণ, তিনি এখন বেলডাঙা ১ ব্লকের চৈতন্যপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। তবে, উপপ্রধান হলে কী হবে, তিনি কাজ করেন রাজমিস্ত্রি হিসেবেই। বেলডাঙার নওদা গ্রামের বাসিন্দা মানব কবিরাজ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন ১৯৯৩ সাল থেকে। এখনও করেন। দৈনিক আয় ৪৫০ টাকা। ভোর থেকে তাঁর নানান প্রশাসনিক কাজকর্ম থাকে‌ তারপর সকাল ৭টা থেকে রাজমিস্ত্রি হিসেবে ময়দানে নেমে পড়েন। বিকেলের পরে পঞ্চায়েতের কাজ করতে দলীয় কার্যালয়ে যেতে হয়। নিজের বাড়িতে একটি ঘরে কোনও রকমে স্ত্রী ও কন্যা নিয়ে বসবাস করেন।

গ্রামের মানুষ জানাচ্ছেন, অতীতে তিনি সিপিএম কংগ্রেসের কাছে হারেন পঞ্চায়েতের ভোটে। সেই সময় এলাকায় উন্নয়ন হয়নি। পরে ২০১৮ সালে তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হয়। তারপর থেকে এলাকায় কাজ হয়েছে। গ্রামে ঢালাই রাস্তা, নিকাশি নালা, পথবাতি হয়েছে। এই গ্রামে বর্ষায় হাঁটা যেত না। কেউ প্রবেশ করতে পারত না। রাস্তা হওয়ার পর গ্রামের মানুষের উন্নতি হয়েছে। সেই কাজের কৃতিত্বের অংশীদার মানব কবিরাজ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর