বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই কলিঙ্গ সুপার কাপ (Kalinga Supar Cup) জয়ের পর প্রবল আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দারুণ ছন্দেও রয়েছে কুয়াদ্রাতের লাল-হলুদ শিবির। যদিও, এবার ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। মূলত, ক্লাবের কর্মকর্তাদের একটি সিদ্ধান্তই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, যুবভারতীর ডার্বি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকর্তারা।
এমতাবস্থায়, তাঁরা কেন এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে জানতেই তুমুল আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে টিকিট বন্টন ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতেই ক্লাবের কর্মকতাদের মতবিরোধ এবার রীতিমতো অন্তর্দ্বন্দের আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায়, ডার্বি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেবব্রত সরকার থেকে শুরু করে রূপক সাহা, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়রা।
তবে, ডার্বি বয়কট করলেও খেলার সময়ে নিজেদের ক্লাবকে সমর্থন জানাতে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে ক্লাব তাঁবুতে বসে ম্যাচ দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। সামগ্রিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা টিকিটের সমস্যা থাকায় মাঠে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” পাশাপাশি টেলিভিশনে খেলা দেখেই ক্লাবে একসঙ্গে বসে দলকে সমর্থন করার বিষয়টিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কাউকেই ছেড়ে কথা বলবেনা RBI! Paytm-এর পর এবার বিপদে এই সংস্থা, হল বিপুল অঙ্কের জরিমানা
ঠিক কি ঘটেছে: উল্লেখ্য যে, শনিবার মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। এদিকে, এটি মোহনবাগানের হোম ম্যাচ হওয়ায় আয়োজক হিসেবে টিকিট বন্টনের সিদ্ধান্ত সবুজ-মেরুন কর্তাদের। এমতাবস্থায়, আয়োজক ক্লাবের তরফে ১০০ ভিভিআইপি ও প্রায় ২০০ ভিআইপি টিকিট ইস্টবেঙ্গলের বিনিযোগকারী সংস্থা ইমামির অফিসে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট দাবি করেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা। কিন্তু, সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: মুইজ্জুর পরিকল্পনায় জল ঢালল ভারত! “ইন্ডিয়া আউট” ক্যাম্পেনকে ব্যর্থ করে নিল এই পদক্ষেপ
জানা গিয়েছে যে, ইমামির কর্তারা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কোনো ভিভিআইপি গ্যালারির টিকিট পাঠায়নি। আর যার জেরে ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা ডার্বি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডার্বির সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি যেখানে মাঠে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান খেলছে অথচ সেই ক্লাবের একজন কর্মকর্তাও মাঠে উপস্থিত থাকছেন না। তাছাড়া, বর্তমানে ছন্দে থাকা ইস্টবেঙ্গলে টিকিটের বন্টন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ক্লাবের কর্মকর্তাদের অন্তর্কলহের বিষয়টি ক্লাবের জন্যও আদৌ ইতিবাচক নয়।