বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গতকাল প্রথম দল হিসেবে মরক্কোর ডিফেন্সকে ভেদ করতে সফল হয়েছে ফ্রান্স। কাল অসাধারণ পারফরম্যান্স না দেখিয়েও তারা ইয়াসিন বোনোর পাহারা এড়িয়ে দুটি গোল করতে পেরেছেন। ফ্রান্সের হাতে এবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারই ছিল না। এনগোলো কান্তে, পল পোগবা, করিম বেনজেমার মহাতারকারা চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন দল থেকে। তা সত্ত্বেও তারা ফাইনালে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন।
এর আগে মাত্র দুটি দেশ টানা দুবার ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হয়েছে। ব্রাজিল এবং ইতালি দুটি দেশই এর আগে টানা দুবার এই কীর্তি করে দেখাতে পেরেছে। ১৯৩৪ সালে চেকোস্লোভাকিয়া এবং ১৯৩৮ সালে হাঙ্গেরীকে হারিয়ে পর পর দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ইতালি। তাদের সেই কীর্তিকে ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপ জিতে ছুঁয়ে ফেলেছিল ব্রাজিল।
তবে ফ্রান্সের সেই কীর্তিকে ছোঁয়ার রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের সেরা ফুটবলারদ্বয়ের মধ্যে একজন, লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে নিজের কেরিয়ারটা সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তুলতে চান তিনি। নিজের কেরিয়ারে ফুটবল বিশ্বের সমস্ত শিরোপাই জিতে নিয়েছেন মেসি। বাকি আছে সোনালী ট্রফিটিতে হাত ছোঁয়ানো। ৫ টি গোল ও ৩ টি অ্যাসিস্ট করে সেই লক্ষ্যের দিকেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মেসি।
২০১৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে পৌছেও জার্মানির কাছে হেরে আর্জেন্টাইন মহাতারকার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপে ‘শেষ ১৬’ পর্যায়ে এই ফ্রান্স দলের কাছেই হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু সেই চার বছর আগের দল থেকে এখনকার আর্জেন্টিনা দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
সেই ব্যাপারটা খুব ভালো করেই জানেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ। সবচেয়ে বড় কথা এটাই যে ২০১৮ সালের ফ্রান্স দলে কান্তে উপস্থিত ছিলেন যিনি মাঝ মাঠে মেসিকে এক সেকেন্ডের জন্য একা ছেড়ে দেননি। এবার তিনিও দলে নেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ফ্রান্স কোচ বলেছেন, “আমরা জানি আর্জেন্টিনা কতটা ভালো টিম আর আমরাও ইংল্যান্ড আর মরক্কোর বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। কিন্তু আমরা কাজের কাজটা করতে পেরেছি এবং সেই জন্যই ফাইনালে পৌঁছেছি। রবিবার ম্যাচের পরে আর্জেন্টিনার হয় আমরাই যেন খুশি থাকি, এটা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য হবে আমাদের।”