বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর ফের তাঁকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ আরও জোরদার করল ইউনূস সরকার। রায়কৃত ‘কনভিকশন ওয়ারেন্ট’ হাতে আসার পর এবার ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার দিকেই নজর দিচ্ছে ঢাকা। ইতিমধ্যেই হাসিনা ও তাঁর প্রাক্তন গৃহমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজার পরোয়ানা বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই তা ইন্টারপোলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে এবার ইন্টারপোলের দ্বারস্থ বাংলাদেশ (Bangladesh):
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে দীর্ঘ শুনানির পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। রায়দান পর্ব শেষ হওয়া মাত্রই ঢাকার বিদেশ মন্ত্রক ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রসঙ্গ তোলে এবং নয়াদিল্লির কাছে হাসিনাকে ফেরানোর দাবি জানায়। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। ঢাকা দাবি করছে, রায় ঘোষণার পর থেকেই হাসিনা ‘আইনগত ভাবে অপরাধী’, তাই তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
আরও পড়ুন:বেড়াতে গিয়ে মিলল দুর্দান্ত আইডিয়া! এই ফলই বদলাল অদ্বৈতর জীবন, এখন সামলাচ্ছেন ১.৫ কোটির ব্যবসা
ইন্টারপোলকে ব্যবহার করার আভাস অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রসিকিউটর তামিম। রায় ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি জানিয়েছিলেন, প্রসিকিউশন ইতিমধ্যেই হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছিল। কিন্তু ইন্টারপোল কোনও সাড়া দেয়নি। সে সময় ইন্টারপোলের কাছে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্ট’ না থাকায় তেমন সাড়া মেলেনি বলেই মনে করছে প্রশাসন। এবার হাতে সাজা-পরোয়ানা আসায় সেই পথ আরও পরিষ্কার হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
প্রসিকিউটর তামিম জানিয়েছেন, কনভিকশন ওয়ারেন্ট পাওয়ার পর ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারি করার অনুরোধ পাঠালে তাঁদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘‘হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া সাজার পরোয়ানা বিদেশমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকই তা ইন্টারপোলের হাতে তুলে দেবে।’’ বাংলাদেশের ভাবনা, রেড নোটিশ জারি হলে আন্তর্জাতিক স্তরে হাসিনাকে ‘ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করা হবে এবং তাঁর বিদেশে অবস্থানও সীমিত হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার ক্ষেত্রে আরও জোরদার চাপ তৈরি হবে।

আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৮ বছর পর প্রাথমিকে নিয়োগের ঘোষণা রাজ্যে, শূন্য পদ কত? জানুন খুঁটিনাটি
ঢাকার রাজনৈতিক মহলের মতে, ইউনূস প্রশাসন কোনও দিকই খোলা রাখতে চাইছে না। প্রত্যর্পণ চুক্তির পথ, কূটনৈতিক যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা—সবটাই সক্রিয় রাখা হচ্ছে। তাঁদের লক্ষ্য, যেভাবেই হোক হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা। অন্য দিকে, ভারতের অবস্থান কী হবে তা নিয়েই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা তুঙ্গে।












