বাংলা হান্ট ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) নির্মীয়মান ভগবান শ্রী রামের মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ (India)। আগামী ২২ জানুয়ারি, ২০২৪-এ মহাসমারোহে সম্পন্ন হবে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। রাম নগরীতে এই সংক্রান্ত প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। রাম মন্দিরে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ভগবানের পাদুকাও সেখানে রাখা হবে। বর্তমানে ওই পাদুকা সারাদেশে ঘোরানো হচ্ছে। এমতাবস্থায়, প্রাণ-প্রতিষ্ঠা মহোৎসবের আগে আগামী ১৯ জানুয়ারি অযোধ্যায় পৌঁছবে ওই পাদুকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওই পাদুকা তৈরি করেছেন হায়দ্রাবাদের শ্রীচল্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। গত রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ওই পাদুকা রামেশ্বর ধাম থেকে আহমেদাবাদে আনা হয়। যেটি এস.জি. হাইওয়েতে অবস্থিত তিরুপতি বালাজি মন্দিরে দর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এখান থেকে এই পাদুকা সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ ধাম সহ দ্বারকাধীশ নগরী এবং তারপর বদ্রীনাথের মতো ধামে নিয়ে যাওয়া হবে।
১ কেজি সোনা এবং ৭ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হয়েছে পাদুকা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই চরণ পাদুকা ১ কেজি সোনা এবং ৭ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, মূল্যবান রত্নও ব্যবহার করা হয়েছে। আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পর ওই পাদুকা বালাজি মন্দিরের ট্রাস্টি কে. সুব্বারায়ুডু তাঁর মাথায় রেখে মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যান এবং শ্রী বালাজি মন্দিরের পণ্ডিতরা বিশেষ পুজোও করেন। এরপর বহু ভক্ত শ্রী রামের পাদুকা দর্শন করেন। কিছু কিছু ভক্ত ওই পাদুকা মাথায় নেওয়ার সৌভাগ্যও পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুল করে অ্যাকাউন্টে এসেছে টাকা? মনের আনন্দে করে ফেলেছেন খরচ? তাহলে আর নেই রক্ষে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শ্রীচল্ল শ্রীনিবাস শাস্ত্রী এই শ্রীরাম পাদুকা নিয়ে ৪১ দিন অযোধ্যা প্রদক্ষিণ করেছিলেন। এরপর গত ২ বছর ধরে এই পাদুকাগুলি রামেশ্বরম থেকে বদ্রীনাথ পর্যন্ত বিখ্যাত সব মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং বিশেষ পূজা করা হচ্ছে। এখন এই চরণ পাদুকা আহমেদাবাদ থেকে সোমনাথ ও দ্বারকায় নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর এই চরণ পাদুকা পৌঁছে যাবে বদ্রীনাথ মন্দিরে। এরপর অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দিরে পাদুকা স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: মিস করবেন না এই সুযোগ! সোনার দামে বিরাট পতন, জেনে নিন সর্বশেষ দর
রাম মন্দিরের প্রথম তলা প্রায় প্রস্তুত: জানিয়ে রাখি যে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলা প্রায় তৈরি। এখন মেঝেতে পাথরের পালিশ এবং পিলারে খোদাইয়ের কাজ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। রাম মন্দির ট্রাস্ট দাবি করেছে যে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ প্রথম তলার ফিনিশিং এবং নির্মাণ শেষ হবে। বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে আট ঘণ্টার ৩ টি শিফটে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।