বাংলাহাকন্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও, সঠিক অথ্য প্রমাণের অভাব ছিল। শেষমেশ ‘কোভিড ওয়ার্কার’ সেজেই হানা দিল ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার (jamtara) ‘সাইবারওয়ালা’র বাড়িতে। আর তাতেই অপারেশন সাকসেসফুল। কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৭ ‘সাইবারওয়ালা’। এযেন পুরো সেলুলয়েডের বাস্তব দৃশ্য।
টাকা হাতানোর অভিযোগ
নিজেদেরকে ব্যাংককর্মী বলে পরিচয় দিয়ে ফোনের অপ্রান্ত থেকেই কাজ সারত এরা। কখনও ফোন বা ম্যাসেজ করে, ওটিপি জেনে কিংবা KYC আপডেট করার নাম করে জালিয়াতি চলছিল। অভিযোগ থাকলেও, সঠিক দোষীদের কিছুতেই পাকড়াও করতে পারছিল না পুলিশবাহিনী।
তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা
তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাংক জালিয়াতি শাখার আধিকারিকরা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার টিমকেই সন্দেহের নিশানা বানায়। কিন্তু সন্দেহ করলেই তো আর হবে না, তাঁদের হাতেনাতে ধরতে হবে। এদিকে আবার পুলিশের গাড়ি আসতে দেখলে সতর্ক হয়ে যাবে অপরাধীরা। কিন্তু উপায় কি? অবশেষে করোনার উপর ভরসা করল গোয়েন্দারা।
ছদ্মবেশ নিল ‘কোভিড ওয়ার্কার’-এর
মুখে শিল্ড, শরীরে অ্যাপ্রন পরিহিত অবস্থায় একেবারে ‘কোভিড ওয়ার্কার’-এর ছদ্মবেশে ঝাড়খণ্ডের নেমপ্লেট লাগানো গাড়ি নিয়েই শুরু হল সাইবারওয়ালা অপারেশন। দিনে দুপুরেই হানা দিল পর পর জামতাড়ার কয়েকটি গ্রামে। আর তাতেই সাফল্য মিলল। করোনা পরীক্ষা করার নাম করে সোজা বাড়ির ভেতর ঢুকে গিয়ে টেনে বার করে নিয়ে আসে জালিয়াতদের।
ফেরানো গেছে কিছু খোয়া টাকা
শুধুমাত্র অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারই নয়, উদ্ধারও করা গিয়েছে বেশ কিছু টাকা। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স-এর এক বাসিন্দার থেকে ব্যাংক কর্মীর পরিচয়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল এই অভিযুক্তরা। সেই টাকা পুরোটা ফেরত না পাওয়া গেলেও, তাঁকে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেওয়া গেছে। পাশাপাশি এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে খোয়া যাওয়া ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা ফেরানো সম্ভব হয়েছে।