বাংলাহান্ট ডেস্ক: একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং অন্যজন বর্তমান লোকসভার সাংসদ। এতদিন বিরোধী দলের সদস্য থাকলেও প্রথম জন ফুলবদল করায় এখন তাঁরা একই দলে। বাবুল সুপ্রিয় (babul supriyo) এবং দেব অধিকারী (dev adhikari)। দুদিন আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন গায়ক রাজনীতিক। এ বিষয়ে অনেকেই মুখ খুললেও এতদিন চুপ ছিলেন দেব।
সাংসদ আসলে নিজের অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এতদিন। দার্জিলিংয়ে চলছিল তাঁর অভিনীত এবং প্রযোজিত ‘কিশমিশ’ ছবির শুটিং। তাই অনর দিকে নজর দেওয়ার তেমন সময় ছিল না দেবের। এবার শুটিং সেরে নিশ্চিন্ত মনে কলকাতায় ফেরার সময়েই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন দেব।
সাত বছর বিজেপিতে থাকার পর দল বদলে তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়। এ বিষয়ে কী বলবেন দেব? সাংসদ অভিনেতার জবাব, “বাবুলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমনিতে বেশ ভাল। কিন্তু তাঁর ব্যাপারে তো তিনিই সবথেকে ভাল বলতে পারবেন। এটা ওঁর ব্যক্তিগত এবং দলের ব্যাপার। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”
দেব রাজনৈতিক সৌজন্য দেখালেও অনেকেই কিন্তু এই সুযোগে বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। কেউ সরাসরি কেউ আবার নাম না করে। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন লিখেছেন, ‘তৃণমূল দল কাকে টেনে নেবেন সেটা একান্তই তাঁদের ব্যাপার। শুধু, “আপনার মমতাময়ী” বলে গায়ে পড়ে বিদ্রুপ করা এই মুসলিমবিদ্বেষী, এন আর সি পন্থী, বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী বাবুল সুপ্রিয় মহোদয় এখন “তাঁর মমতাময়ী” সম্পর্কে কী ভাবছেন তৃণমূলে তাঁর কাছের মানুষরা হয়তো জানতে চাইছেন।’
আবার নাম না করে রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে বাবুলকে খোঁচা দিয়েছেন অনুপম রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। অনুপম লিখেছেন, ‘একটা সময় মনে হতো আদর্শ থাকলে তবেই রাজনীতি। এখন বহুদিন হল মনে হয়, সামান্য আদর্শ থাকলেও আর যাই হোক, রাজনীতি নয়।’ অপরদিকে রাজনীতিকে ব্যবসার আখ্যা দিয়েছেন পরমব্রত। দুজনেই কেউই টুইটে কোনো নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু কটাক্ষের তীরটা যে কার উদ্দেশে ছোঁড়া তা আর বুঝতে বাকি নেই কারোর।