বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড গায়ক কেকের (KK) মৃত্যু নিয়ে যেটা হচ্ছে সেটা ‘বাড়াবাড়ি’ বলে দাবি সাংসদ অভিনেতা দেবের (Dev)। কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে ছসে প্রয়াত হয়েছেন খেকে। এর জন্য কলেজ বা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কিংবা পুলিসকে দোষ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন দেব।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেব। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর যুক্তি, গ্রামেগঞ্জে সিনেমার মিউজিক লঞ্চ হলে কাতারে কাতারে লোক আসে। তাঁর ক্ষেত্রেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনিও ভয় পেয়েছেন। তবে দেব মনে করেন, এগুলো শিল্পীর প্রতি ভালবাসার প্রকাশ। প্রিয় শিল্পীকে সামনে থেকে দেখার, তাঁকে ছোঁয়ার জন্য এত মানুষের ভিড় হয়।
মানুষ সবসময়েই সরকারের দোষ দেয়। এখানেই আপত্তি দেবের। তাঁর বক্তব্য, পুলিস কি সারাক্ষণ গিয়ে গিয়ে দেখে আসবে যে কোথায় কত লোক এসছছে? সেই যুক্তিতে তো সমস্ত রাজনৈতিক সভা, মিছিলও বন্ধ করে দিতে হবে, দাবি দেবের।
তিনি আরো বলেন, করোনার সময়ে এক জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবুও অনেক রাজনৈতিক মিটিং মিছিল হয়েছে। তাই দেবের বক্তব্য, যদি কেকের ঘটনাটা ভুল হয়ে থাকে তবে আগের গুলোও ভুল।
একটা ঘটনা নিয়ে মাতামাতি না করে বরং সব ঘটনা নিয়েই সুর চড়ানো উচিত। আর যদি আগের ঘটনাগুলো ঠিক হয়, তবে কেকের মৃত্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে বলেই মত দেবের। তাঁর মন্তব্য শোরগোল ফেলেছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে শেষ অনুষ্ঠান করেন কেকে। নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যা ২৫০০। অথচ সেদিন লোক হয়েছিল প্রায় ৭০০০। এদিকে ফেস্টের আয়োজক কলেজের ইউনিয়ন টিএমসিপি ইউনিট দাবি করেছে, যত আসন সংখ্যা ততগুলোই পাস বিলি করেছিল তারা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু টিকিট এসে পড়েছে যা স্পষ্টতই অতিরিক্ত।
যেখানে অডিটোরিয়ামে আসন সংখ্যা ২৫০০, সেখানে একটি টিকিটের নম্বর ৪০২৩। এমনকি টিকিটে কলেজের স্ট্যাম্প পর্যন্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি তো করা হয়েছিলই, উপরন্তু সেদিন অনেক বহিরাগত পড়ুয়ারাও ঢুকে পড়েছিল শো তে। পাঁচিল টপকেও অনেকে ঢুকেছিল বলে খবর। যদিও অতিরিক্ত টিকিটের প্রমাণ দেখেও কোনো মন্তব্য করেনি কলেজ ইউনিয়ন।