বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবাররও সংবাদ শিরোনামে বাংলাদেশের (Bangladesh) রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির (Rohingya refugee camp)। লেগে গেল বিধ্বংসী আগুন। কক্সবাজারে বালুখালিতে ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন (Fire) লাগে। জানা যাচ্ছে, রবিবার বিকেলের দিকে রোহিঙ্গা শিবিরে এই লাগে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দু’হাজারের বেশি ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার শরণার্থী।
ঘটনার পর আগুনের লেলিহান শিখা শরণার্থী শিবির থেকে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাতেও। আগুনে পুড়ে ছাই অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রোহিঙ্গাদের পড়াশোনার জন্য লার্নিং সেন্টার। বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবিরও পুড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে কারুর জীবনহানি হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে জানান, বালুখালি ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকে আগুন লাগে। দ্রুত দমকল বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রথমে দমকলের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু আগুন বিধ্বংসী চেহারা নেওয়ায় আরও কয়েকটি ইঞ্জিনকে যেতে হয়। বালুখালি ১১ নম্বর আশ্রয় শিবির থেকে আশপাশের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।’
এই প্রথম নয়। এর আগেও বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালিতে ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প। সেবার অন্তত ৯ হাজার ঘর আগুনে পুড়ে যায়। হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঘরছাড়া হন। আগুনের জেরে ছোটাছুটি করার সময় পড়ে গিয়ে অন্তত ৫০জন আহত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয় সাত জনের।
সব মিলিয়ে কক্সবাজারে মোট ৩৪টি রোহিঙ্গাদের শিবির রয়েছে। সমুদ্রের ধারে বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে এই শিবির।পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে সমস্ত ঘর। একটি ঘরে আগুন লাগলে তা দ্রুত আশপাশের ঘরেও ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশের শরণার্থী এবং প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সে তার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়।