বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৩তম আইপিএলে অন্যতম আবিষ্কার ছিলেন দেবদূত পদিক্কাল। করোনা অতিমারির কারণে গত আইপিএলের আসর বসেছিল সুদূর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ১৫ ম্যাচে ৪৭৩ রান করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন কর্নাটকের এই উঠতি ব্যাটসম্যান। গতবার তিনি ইনিংস সূচনা করতে নামতেন অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে, এবারে তার ওপেনিং পার্টনার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অল্প সময়ে কোহলির প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন দেবদূত। কিন্তু কোহলির প্রিয় পাত্র হলে কী হবে, দেবদূতের আদর্শ খেলোয়াড়, কিন্তু ভারত অধিনায়ক নন। কর্নাটকের তরুণের আদর্শ ‘বিগ ম্যাচ প্লেয়ার’ গৌতম গম্ভীর।
ভারতের প্রাক্তন তারকার প্রতি দেবদূতের মুগ্ধতা আজকের নয়। এর আগেও গৌতম গম্ভীরের প্রতি মুগ্ধতার কথা স্বীকার করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, দেবদূতের সোজাসাপ্টা জবাব ছিল, গম্ভীর বড় ম্যাচের প্লেয়ার। পরিস্থিতি কঠিন হলেই, ওর মধ্যে থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। দেবদূত বলেন,’ গৌতম গম্ভীর ভারতের হয়ে অনেক কঠিন ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন। কঠিন পরিস্থিতিতে ভালো পারফরম্যান্স তো একজন বড় খেলোয়াড়ের থেকে বাকিদের আলাদা করে দেয়। দল যখনই বিপদে পড়েছে, ও তখনই দলকে রক্ষা করেছে, আমিও ঠিক এমনটাই করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ ও ২০১১ জোড়া বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল গম্ভীরের। ওই দুই ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বিপদের মুখ থেকে টেনে বের তুলেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে টি-টোয়েন্টি ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঝকঝকে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে গম্ভীর ৯৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত শক্ত করে দিয়েছিলেন।