বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহর সংলগ্ন অঞ্চলে বাড়ি তৈরির নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আনল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে, এবার থেকে কাঁচা রাস্তা বা কমন প্যাসেজের ধারে বাড়ি তুলতে হলে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনের সঙ্গে এককালীন উন্নয়ন ফি দিতে হবে। নতুন এই নিয়ম মূলত প্রভাব ফেলবে শহরতলির এলাকাগুলিতে, যেখানে এখনও বহু কাঁচা রাস্তা এবং নথিভুক্ত নয় এমন প্যাসেজ রয়েছে।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) নতুন নিয়মে কী কী বলা হয়েছে?
পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) নির্দেশ অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে, এক কাঠা পর্যন্ত জমিতে বাড়ি তুলতে প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা, এক থেকে তিন কাঠার মধ্যে জমি হলে ৮ টাকা এবং তিন কাঠার বেশি জমিতে ১০ টাকা হারে উন্নয়ন ফি ধার্য হবে। অর্থাৎ, বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন পেতে জমির মালিকদের এই ফি দিতেই হবে।
পুর (Kolkata Municipal Corporation) অফিসাররা জানিয়েছেন, পুরনো কলকাতার ১-১০০ নম্বর ওয়ার্ডে এ নিয়ম কার্যত প্রযোজ্য নয়। কিন্তু যাদবপুর, কসবা, গরফা, মুকুন্দপুর, বেহালা, জোকা, ঠাকুরপুকুর ও গড়িয়ার মতো এলাকাগুলি কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় অনেক পরে। এসব অঞ্চলে এখনও বহু কাঁচা রাস্তা রয়েছে, তাই নতুন নিয়ম সেখানেই বেশি প্রভাব ফেলবে।
পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রে খবর, অনেক সময় বড় জমি ভাগ করে প্লট বিক্রি করা হয় বা পুকুর ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হয়, যেগুলি পুর-নথিভুক্ত নয়। অথচ স্থানীয়রা আলো, জল, নিকাশি ও পাকা রাস্তার দাবি করেন। এতদিন নাগরিক স্বার্থে খরচ বহন করত পুরসভা। কিন্তু এবার উন্নয়ন ফি থেকে সেই অর্থসংস্থান করা হবে। জমির মালিকরা রাস্তার জন্য জমির অংশ দান করলে সেই প্রক্রিয়া বহাল থাকবে।
আরও পড়ুনঃ ‘শিক্ষক নয়, শিক্ষা এখন পেশা!’ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত রায়
পুর কর্তৃপক্ষের (Kolkata Municipal Corporation) আশা, এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে শহরতলির কাঁচা রাস্তার ধারে তৈরি বাড়িগুলিতে দ্রুত মৌলিক পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে। একইসঙ্গে, রাজস্ব বাড়িয়ে ভবিষ্যতের পরিকাঠামো উন্নয়নেও সহায়ক হবে এই উন্নয়ন ফি।