বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা। এই তিথিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান তারাপীঠে (Tarapith) মা তারার (Maa Tara) কাছে। রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বিপুল ভক্ত তারাপীঠে আসেন ওই বিশেষ তিথিতে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ভক্তদের ভিড় সামাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক তারাপীঠ মহাশ্মশানে এসে মহাযজ্ঞ করে থাকেন। মনে করা হয় যে, ওই মহাশ্মশানে আবাস রয়েছে মা তারার। তারাপীঠের মহাশ্মশানে দেবী বাস করেন জ্যোতি রূপে। এমতাবস্থায়, কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ তিথিতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মনস্কামনা পূরণের জন্য আসেন মা তারার কাছে।
সেই আশাতেই এবার সুদূর রাশিয়া থেকে তারাপীঠ মহাশ্মশানে এসেছেন মা তারার ভক্ত যোগীনী অন্নপূর্ণা নাথ। বিশ্বাস অনুযায়ী, কৌশিকী অমাবস্যার এই তিথিতে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করলে পূরণ হয় মনস্কামনা। পাশাপাশি পূর্ণতা পায় মহাযজ্ঞ। আর সেই লক্ষ্যেই যোগীনী অন্নপূর্ণা নাথ উপস্থিত হয়েছেন মহাশ্মশানে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত শনিবার তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা তারাপীঠের মহাশ্মশানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাশিয়ার পাশাপাশি, থাইল্যান্ড এবং দিল্লি থেকেও বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন তারাপীঠে। এমতাবস্থায়, কৌশিকী অমাবস্যার দিন তাঁরা সবার মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ করবেন।
আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য ভারত! এবার এই পড়শি দেশেও দাপট দেখাবে UPI, G-20 সম্মেলনের আগেই সম্পন্ন হল ৩ টি চুক্তি
এদিকে অন্নপূর্ণা জানিয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তিনি এখানে আসেননি। বরং, হঠাৎ মায়ের টানে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন তারাপীঠে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে বিপুল ভক্ত সমাগমের জন্য নিরাপত্তায় কোনো খামতি রাখা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি লাগানো হচ্ছে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। জানিয়ে রাখি যে, কৌশিকী অমাবস্যার আগে তারাপীঠের মন্দিরে নতুন করে রং করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।