বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিধাতা কার কপালে ঠিক কী লিখে রেখেছে তা কেবল তিনিই জানেন। এই যেমন দমদমের মেয়ে সৃজার (Srija Dutta) ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা শেষ করে একটা ঠিকঠাক চাকরি জুটিয়ে ফেলা। সে কী কখনও ভেবেছিল যে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে দেবের (Dev) নায়িকা হওয়ার সুযোগ মিলবে! কলেজ পড়ুয়া সোজা দেবের নায়িকা। আর তাও আবার ‘বাঘা যতীন’র (Bagha Jatin) মত একটা ছবিতে। এই সফরটা কেমন উপভোগ করছেন সৃজা? উত্তর দিলেন খোদ নায়িকা।
এইদিন সৃজা বলেন, তিনি দেবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ইন্টারভিউতে কীভাবে কথা বলবে। তবে অভিনেতা নাকি তাকে বলেন, যেটা মনে আসবে সেটাই বলতে। তাই তিনি যেটা বলেন তার সবটাই আনফিল্টার্ড। তবে কথা বলতে অসুবিধা না হলেও খানিকটা অসুবিধা হচ্ছে নায়িকা সুলভ আচরণ রপ্ত করতে। শাড়ি পড়ে হাঁটছেন কম, হোঁচট খাচ্ছেন বেশি।
আবার বৃষ্টির কারণে ইন্টারভিউতে পৌঁছাতেও খানিক দেরি হচ্ছে তার। এইদিন সৃজার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, শ্যুটিং নাকি প্রচার কোনটা বেশি উপভোগ করছেন তিনি? নায়িকা জানান, ‘শুটিং করার সময়টাই বেশি উপভোগ করেছি। বিষয়টা তৈরি হওয়ার সময় প্রচুর জিনিস শেখার ছিল। সেটে কত নতুন নতুন বিষয় ছিল। আর্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে ক্যামেরার কাজ— প্রতিটা বিষয়ই আমার কাছে নতুন।’ যদিও প্রচারের কাজও তার কাছে বেশ উপভোগ্য বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এরপরেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয় শুভশ্রীর ইন্দুবালা চরিত্রটি নিয়ে। দিন কয়েক আগেই এই একই নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। জবাবে সৃজা বলেন, ‘তুলনা টানা হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, চরিত্রের নাম এক হলেও গল্প এবং চরিত্রের ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। আমি দেখেছি ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। আমার শুভশ্রীদিকে দারুণ লেগেছে। একটা জিনিস ভেবে ভাল লাগছে যে, এই ‘ইন্দুবালা’ নামটা যে ভাবেই হোক বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, এটা নিয়ে কোনও তুলনা হওয়া উচিত না।’
এইদিনের আলাপচারিতার মাঝেই জানা গেল, বহু আগেই নিজের বাবাকে হারিয়েছেন সৃজা। তার বাবা নাকি চাইতেন মেয়ে পড়াশোনা করুক। সিনেমাটকে উনি কতটা সাপোর্ট করতেন তাতে সন্দেহ থাকলেও সৃজার মা বিষয়টা ভিষণ সাপোর্ট করেন। তারকাদের জীবন মানেই নেতিবাচক সমালোচনায় ভর্তি। এই প্রসঙ্গে সৃজা বলেন, ‘ভাল করে কাজ করতে চাই। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। বিতর্কের মাধ্যমে আমি জনপ্রিয়তা চাই না। মানুষ যেন আমায় কাজের মাধ্যমে চেনে।’