বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাস (corona virus) থেকে রক্ষা পেতে এখন পর্যন্ত প্রচুর বিদ্যমান ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। গত মাসে বিজ্ঞানীরা রোগীদের বাঁচাতে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন এবং বিসিজি ওষুধ গ্রহণ করেছেন। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে এগুলি বাদে একটি স্টেরয়েড ড্রাগ রয়েছে যা করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের গুরুতর রোগীদের জীবনকে প্রমাণ করে চলেছে।
সম্প্রতি, ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় সন্ধান করেছেন যে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে ডেক্সামেথেসোন একটি খুব কার্যকর এবং সাশ্রয়ী ওষুধ।
একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত স্টেরয়েড ডেক্সামেথসোন করোনা ভাইরাসের সংক্রমনে দুর্দান্ত অভিনয় করে। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের জীবন বাঁচাতে
এটি তার জীবন বাঁচাতে সফল প্রমাণিত হয়েছে।
গবেষণা তথ্যে দেখা গেছে যে এর ব্যবহার ভেন্টিলেটরে রোগীদের মৃত্যুর হার ৩৩.৩৩% এবং কম গুরুতর লক্ষণযুক্ত রোগীদের মধ্যে ২০% হ্রাস পেয়েছে।
করোনার চিকিৎসায় অক্সফোর্ডের গবেষকদের এই অভূতপূর্ব খোঁজ নিয়ে উচ্ছসিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানান, ওষুধ প্রয়োগে ভেন্টিলেশন বা অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া মরনাপন্ন করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার এতটা কমানোর ঘটনা এই প্রথম।
এটা করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটাবে বলে মন্তব্য করেন WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল! এ বার মরনাপন্ন করোনা রোগীদের বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ডেক্সামেথাসোনের উৎপাদন বাড়াতে আহ্বান জানালেন টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসাস।
ডেক্সামেথাসনের সাথে করোনার চিকিত্সা করার সময় বিজ্ঞানীরা খুব বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখেননি। এই ভিত্তিতে ডাব্লুএইচওও ডেক্সামেথাসনকে চিকিত্সার জন্য নিরাপদ ঘোষণা করেছে।
অক্সফোর্ডের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ‘ডেক্সামেথাসোন’ (Dexamethasone) প্রয়োগ করে ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মৃত্যুর হার কমানো গিয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এই ওষুধের প্রয়োগে অক্সিজেনের সাহায্য নেওয়া গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্থিতিশীল করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে।