বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা ইন্ডিগোকে (IndiGo Flight Cancellations) ঘিরে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন অচলাবস্থা। গত এক সপ্তাহ ধরে শয়ে শয়ে বিমান বাতিল এবং ব্যাপক বিলম্বে যাত্রীভোগ বাড়তে থাকায় সরাসরি নোটিস পাঠাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন। ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে শোকজ করেছে নিয়ামক সংস্থা। জানানো হয়েছে, কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল তার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানাতে হবে। নোটিসে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে, নির্দেশ অমান্য করা হলে ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইন্ডিগো (IndiGo Flight Cancellations) বিমান বিপর্যয়ে CEO- কে শোকজ নোটিশ DGCA-এর:
মঙ্গলবার থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইন্ডিগোর (IndiGo Flight Cancellations) পরিষেবা। প্রতিদিন শতাধিক বিমান বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বহু বিমান ১২ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ে, ফলে বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরে দীর্ঘ অপেক্ষার মধ্যেও তাঁদের পর্যাপ্ত জল, খাবার বা জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়নি। অনেকের লাগেজও সময়মতো হাতে না পৌঁছনোয় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চলছিল পার্টি! আচমকাই গোয়ার নৈশক্লাবে বিধ্বংসী আগুন, মৃত্যু অন্তত ২৫ জনের, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
কেন্দ্রের নোটিসে মূলত জানতে চাওয়া হয়েছে—নতুন কাজের সময়সীমা সংক্রান্ত নিয়ম কার্যকর করতে গিয়ে কেন পরিষেবায় এমন ভাঙন দেখা দিল। কর্মকর্তাদের মতে, ইন্ডিগোর (IndiGo Flight Cancellations) রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে গুরুতর ব্যর্থতা রয়েছে, যার জেরেই বিমানের পরিচালন ব্যবস্থা থমকে যায়। অভিযোগ, সংস্থা যাত্রীদের আগেভাগে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বের যথাযথ তথ্য দেয়নি। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী যে পরিষেবাগুলি দেওয়ার কথা—যেমন খাবার, বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা, ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক সহায়তা—সেগুলিও অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয়নি। ডিজিসিএ সরাসরি এই প্রশাসনিক ত্রুটির দায় বর্তায় ইন্ডিগোর সিইও-র উপর।
নিয়ামক সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার বিকেলের মধ্যে যাত্রীদের বাতিল ফ্লাইটের (IndiGo Flight Cancellations) সম্পূর্ণ রিফান্ড দিতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের সুবিধার জন্য একটি বিশেষ প্যাসেঞ্জার সাপোর্ট ও রিফান্ড ফেসিলিটেশন সেল গঠন করতে হবে সংস্থাকে। পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তার বিস্তারিত পরিকল্পনাও কেন্দ্রে জমা দিতে হবে ইন্ডিগোকে। প্রশাসনিক মহলে অনুমান, পরিস্থিতি আরও না সামলালে কেন্দ্র কঠোর জরিমানা বা অপারেশনাল সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে।

আরও পড়ুন: শুরু হয়ে গেল কাউন্টডাউন! জারি হল FIFA বিশ্বকাপ ২০২৬-এর সম্পূর্ণ শিডিউল, দেখুন তালিকা
যাত্রীদের অসন্তোষ চরমে উঠলেও ইন্ডিগো (IndiGo Flight Cancellations) জানিয়েছে, পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, ৯৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। আপাতত দৈনিক প্রায় ১৫০০ ফ্লাইট পরিচালনার দিকে এগোচ্ছে তারা। যদিও যাত্রীরা এখনও সতর্ক, অতীত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যত পরিষেবার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।












