বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ও সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে মন্তব্য করেছেন যে ক্রিকেটারদের নিজের জেলার প্রতিনিধিত্ব করার সময় গর্ব বোধ করা উচিত। তার মতে এটি হল ক্রিকেটের শীর্ষ স্তরে পৌঁছানোর প্রথম ধাপ যার ওপর নির্ভর করে যে সেই ক্রিকেটার ভবিষ্যতে কতটা সফল হবেন। তিরুভাল্লুর ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ধোনি। এরজন্য তিনজ নিজের চেন্নাই সুপার কিংস সতীর্থ দীপক চাহারের বিয়েতে যোগদান করতে পারেননি। এই অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, “আমি প্রথমবারের মতো জেলা অ্যাসোসিয়েশনের এমন কোনও অনুষ্ঠানের অংশ হচ্ছি। আমি সুযোগে আমার জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
ধোনি আরও বলেছেন, ‘আমি গর্বিত যে আমি আমার দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি, কিন্তু আমি যদি আমার জেলা বা স্কুলের হয়ে না খেলতাম তবে এটি কিছুতেই সম্ভব হত না।’ তিনি একা নন, তার সাথে এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন প্রাক্তন আইসিসি সভাপতি ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। তিনিই প্রথম মাহিকে চেন্নাই সুপার কিংস দলের অংশ বানান। পরে ধোনির অধিনায়কত্বে চারবার আইপিএল ট্রফি জিতেছে চেন্নাই।
ভারতের প্রাক্তন উইকেট-রক্ষক ধোনি বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক যিনি সবকটি বড় আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতা জিতেছেন। ২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার চার বছর পরে ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে ভারতীয় দল ধোনির নেতৃত্বে একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার দুই বছর পরে ২০১৩ সালে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল।
যদিও টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক ধোনির রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। তার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৬০টি টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমেছে। এর মধ্যে ২৭টি টেস্টে ভারত জয় পেলেও ১৮টি টেস্টে ভারতকে হারের মুখে পড়তে হয়। বাকি ১৫টি টেস্ট অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে ভারতকে ২০০ টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ১১০ টি দেশকে জিতিয়েছেন ধোনি। তা বাদে ৭২টি টি টোয়েন্টি ম্যাচে ৪১ বার ধোনির নেতৃত্বে জয়ের মুখ দেখেছে ভারত।