বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) নিয়ে রাজ্য জুড়ে হাজারো কাণ্ড। একাধিক অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। বৃহস্পতিবার এমনই এক পঞ্চায়েত মামলায় বিস্মিত বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ির (Dhupguri) শাকোয়াঝোরা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ঘটনা ঘিরে তোলপাড় আদালত।
ঠিক কী হয়েছিল? ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪৭টি ব্যালট। এরপর অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শাহনাজ পারভিন নামে এক প্রার্থী। বিচারপতি সিনহার এজলাসে শুনানিতে দেখা যায় ২৮৯টি ভোটগ্রহণ করা হলেও ভোট গণনা করা হয়েছে ২৯৬টি। আরও জানা যায় ব্যালট যে হারিয়ে গেছে সেটা নাকি জানাই ছিল না সেখানকার বিডিওর।
অন্যদিকে বিডিও অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে যে ব্যালট পেপার যায়, তাতে কোনও গণ্ডগোল হলে নিয়ম অনুযায়ী গোটা বিষয়টি বিডিও-কে জানাতে হয়। আর এখানে ৪৭টি ব্যালট পেপার উধাও হয়ে যাওয়ার পরও তা প্রিসাইডিং অফিসার বিডিও-কে জানাননি। এও সম্ভব? সব ঘটনা শুনে ‘থ’ বিচারপতি।
ধূপগুড়ির বিডিও-র বক্তব্যে রীতিমতো বিস্মিত বিচারপতি মহাশয়া। আজ মামলার শুনানিতে BDO-র সওয়াল, ‘পরে বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবেন বলে প্রার্থী নিজেই ব্যালট লুকিয়ে রেখেছিলেন’, এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘প্রার্থী জেতার জন্য ভোটে দাঁড়ান। ব্যালট বাড়িতে রেখে দিয়ে কী হবে?’
একের পর এক অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। পাশাপাশি সেখানে ভোটগ্রহণের হারেও অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। এরপর এই মামলায় প্রিসাইডিং অফিসারকে পার্টি করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।