বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত হানার পরে তিনি এই রাজ্যটির গণতন্ত্রকে পদদলিত করার অভিযোগ ও তার শাসনকালে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন যে, অমিত শাহ এমন এমন একজন মানুষ যিনি “ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে বিপদে ফেলেছিলেন”। যিনি বেঙ্গলের সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে কথা বলেছেন। অমিত বাবুর কি স্মরণে নেই যে তাঁর সামনেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি তাঁর দলের লোকরা ভাঙচুর করেছিলেন’।
.@AmitShah, someone who's himself put the inclusivity of India in danger, talks about 'restoring' the culture of #Bengal. Doesn't he remember, it was @MamataOfficial who restored statue of Vidya Sagar, vandalised by his men in front of his own eyes.#BengalRejectsAmitShah pic.twitter.com/MO8LVl5OXv
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) June 9, 2020
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান তার টুইটকে # বেঙ্গলালিকেলস অ্যামিতশাহ নামে একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে ট্যাগ করেছেন। রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার কথিত সংস্কৃতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করার পরেই টিএমসি সুপ্রিমো থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়।
নতুন দিনের সমাবেশ অমিত শাহ বলেন, “আমরা সেই দল নয়, যারা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও শুধুই অভিযোগ করে। মনে রাখবেন, শুধুই রাজনীতি করার জন্য বিজেপি বাংলায় আসেনি, সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।” তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হবে।” এদিন অমিতের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকারের জন্যই বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য পাননি। মমতা দিদি, শনিবার তালিকা দিলে সোমবারের মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি৩০৩ টি আসন জিততে পেরেও রাজ্যে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। দরিদ্রদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য প্রকল্প বাস্তবায়িত না করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
তা ছাড়া অমিত শাহরে বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান প্রকল্প’-এর কথা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা দেশে কী ভাবে মানুষ উপকৃত হয়েছেন তার হিসেব দেন তিনি। আর তখনই হাততালি দেন সভায় উপস্থিত বাংলার নেতা, কর্মীরা। তাদের থামিয়ে অমিত শাহ বলেন, এর জন্য বাংলার মানুষের হাততালি দেওয়ার কথা নয়। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির জন্য বাংলার মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, “মমতা দিদি, এই রাজ্যের গরিব মানুষের কি অধিকার নেই বুড়ো বাবা, ছোট বাচ্চার ভাল চিকিৎসা করানোর? রাজনীতির একটা সীমা আছে!”