বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সঙ্গীত জগতের সর্বকালীন মহারথীদের মধ্যে একজন ছিলেন কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। তিনি অদ্বিতীয়, একাধারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় প্রতিভা আর দ্বিতীয় বার দেখা যায়নি। তিনি বাঙালির গৌরব। কয়েক দশক ধরে অমর সব গানের ডালি উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি শ্রোতাদের। কিশোর কুমারকে কখনো ভোলা সম্ভব নয়। ৪ ঠা অগাস্ট ছিল কিংবদন্তির জন্মবার্ষিকী।
তাঁর কণ্ঠ যেমন সুরেলা ছিল, তিনি মানুষটাও ছিলেন তেমনি রঙিন। কিশোর কুমারের ব্যক্তিগত জীবনও বরাবর আমজনতার আগ্রহের বিষয় হয়ে থেকেছে। ভালবাসার কাঙাল ছিলেন তিনি। চার বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। প্রথম তিনটি বিয়ে টেকেনি। চতুর্থ স্ত্রী লীনা চন্দ্রভারকরের সঙ্গেই শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন কিংবদন্তি গায়ক।
কিশোর কুমারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী মধুবালা। সুন্দরী মধুবালার প্রেমে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, অভিনেত্রীকে বিয়ে করার জন্য নিজের ধর্ম বদলে মুসলিম ধর্ম পর্যন্ত গ্রহণ করেছিলেন কিশোর কুমার। নাম বদলে রেখেছিলেন আব্দুল করিম।
শোনা যায়, গায়কের বাবা মায়ের এই বিয়েতে মত ছিল না। বাবা মায়ের মন রাখতে নাকি হিন্দু মতে মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার। কিন্তু তাঁরা কোনোদিনই পুত্রবধূ রূপে মানতে পারেননি অভিনেত্রীকে। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত হন মধুবালা।
কিন্তু পরবর্তীকালে কিশোর কুমারের ধর্ম পরিবর্তনের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেন মধুবালার বোন মধুর ভূষণ। গুঞ্জন নস্যাৎ করে তিনি দাবি করেন, কিশোর কুমার নিজের ধর্ম বদলাননি। এ রটনা মিথ্যে। কিশোর কুমার হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। মুসলিম মধুবালাকে বিয়ে করার জন্য ধর্ম বদলাননি তিনি।
হিন্দু ধর্ম নিয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন কিশোর কুমার। মধুর আরো জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারে যে যে পুরুষ বিয়ে করেছেন কেউই নিজের ধর্ম বদলাননি। মধুর নিজেও একজন হিন্দু পঞ্জাবীকে বিয়ে করেছেন।