বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ভবানীপুরে পরাজিত করার হুঙ্কার দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কয়েকদিন আগে বলেন, ‘ভবানীপুরেও ওকে হারাব। আরও পাঁচ বছর হারের জ্বালা বয়ে বেড়াতে হবে’। এসব শুনে অনেকেই ভেবেছিলেন, নন্দীগ্রাম ছেড়ে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে হয়তো ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিজেপি নেতা। তবে এবার নিজেই সেই জল্পনায় ইতি টানলেন। তিনি যে ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছেন না তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু।
ভবানীপুরে মমতাকে হারানোর অবস্থান থেকে সরে আসলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!
একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা-শুভেন্দু। দুই হেভিওয়েটের এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন বিজেপি নেতা। যদিও তাঁর এই জয় নিয়ে কম প্রশ্ন তোলেনি তৃণমূল। ‘লোডশেডিং তত্ত্ব’ নিয়ে সরব হয়েছিল শাসকদল। ছাব্বিশের ভোটের আগে শুভেন্দুর হুঙ্কার শুনে অনেকেই ভেবেছিলেন, ফের হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবেন তিনি। একুশের নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি ছাব্বিশে ভবানীপুরে দেখা যাবে। তবে এবার সেই জল্পনায় জল ঢাললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘১৯৫৬ ভোটে আমার কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। ফের ভবানীপুরেও ২০২৬ সালে বিজেপি প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে ওনাকে হারাব। উনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে রয়েছেন। এরপর ডাবল কম্পার্টমেন্টাল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাবে বাংলায় এক্স চিফ মিনিস্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
আরও পড়ুনঃ গরম কাটিয়ে দক্ষিণবঙ্গে তুমুল ঝড়বৃষ্টি! জারি করা হল হলুদ সতর্কতা! কোন কোন জেলা ভিজবে?
শুভেন্দু এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, ছাব্বিশের ভোটে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে পরাজিত করবেন। অর্থাৎ তিনি যে ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার করে দেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পরেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের অবস্থান থেকে সরতেই খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ২০২৬ সালে ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত বিধায়ক করে বিধানসভায় পাঠাতে চলেছে। কেউ এবার ভবানীপুর নামটা দেখে যদি প্রচার পাওয়ার জন্য বলে ওখানে দাঁড়াব, হ্যান করেঙ্গে, ত্যাগ করেঙ্গে, দিনের শেষে কুছ নহি করেঙ্গে। শেষে ওই হাল হয়েছে। আমরা শুরু থেকে বলেছি ভবানীপুর নিয়ে কথা বলবেন না। ওখানে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, ঝলসে যাবে। এসব করবেন না। শোনেননি। এখন তো শোনা যাচ্ছে ব্যাকআউট’।