ডায়েরির পাতায় শুধু লেখা এই দুই শব্দ! আগে থেকেই নিজের মৃত্যু টের পেয়েছিলেন উত্তম কুমার?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ ১৩ ই জুলাই। আর দিন কয়েক পরে ২৪ ই জুলাই বাংলার ‘মহানায়ক’এর মৃত্যুদিন। উত্তম কুমার (Uttam Kumar), তাঁর প্রয়াণের ৪৬ বছর পরেও নামটা একই রকম প্রাসঙ্গিক। চলচ্চিত্র প্রেমী বাঙালির মননে আজও উজ্জ্বল উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। চিরদিন থাকবেনও। তবে তাঁর মৃত্যু ঘিরে এই চার দশক পরেও রয়ে গিয়েছে রহস্য। আগে থেকেই কি তিনি টের পেয়েছিলেন মৃত্যু পদধ্বনি?

জুলাই মাসেই প্রয়াত হন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)

২৪ শে জুলাই রাত সাড়ে নটা নাগাদ প্রয়াত হন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়েছিল খবর। মেঘলা দিনের মনখারাপকে আরও বাড়িয়ে তুলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সহ গোটা বাংলা। তাঁর এত শীঘ্র মৃত্যুর কথা ভাবতেও পারেননি কেউ। কিন্তু মহানায়ক নিজে কি কিছু টের পেয়েছিলেন? এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তাঁর নিজের ডায়েরি।

Did uttam kumar realised his death beforehand

কী রহস্য রয়েছে ডায়েরিতে: সবসময় একটি ডায়েরি সঙ্গে রাখতেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। নিজের ছবির শুটিংয়ের তারিখ থেকে আসন্ন ছবির নাম, মুক্তির তারিখ যাবতীয় সবকিছুই সেখানে লিখে রাখতেন নিজেই। তাঁর মৃত্যুর পর চর্চায় উঠে আসে এই ডায়েরি। নেপথ্যের কারণ রীতিমতো গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো! দেখা যায়, ১৯৮০ সালে অর্থাৎ যে সালে উত্তম কুমার (Uttam Kumar) প্রয়াত হন, সে বছর আগাম ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত ডায়েরিতে সবকিছুই লিখে রেখেছিলেন তিনি। বাদ দিয়েছিলেন শুধু ২৪ শে জুলাইয়ের পৃষ্ঠাটি!

আরও পড়ুন : ১০ বছরে দেশে কমেছে হিন্দু, পাকিস্তান-বাংলাদেশকে টপকে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যা দেশ হওয়ার পথে ভারত!

আগে থেকেই কিছু টের পেয়েছিলেন: আবার ২৫ শে জুলাইয়ের পাতায় ডায়েরিতে লিখেছিলেন ‘বাঞ্ছারামের বাগান’। কিন্তু পরে পেনের এক আঁচড়ে তা কেটে দিয়েছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। রহস্যের এখানেই শেষ নয়। অদ্ভূত ভাবে ২৬ শে জুলাইয়ের পর থেকে ডায়েরির বেশ কয়েকটি পাতায় আগে থেকেই লিখে রেখেছিলেন ‘বিশ্রাম’ এবং ‘চিরবিশ্রাম’ এই দুই শব্দ।

আরও পড়ুন : কী উপস্থিত বুদ্ধি! স্কুল ব্যাগে থাকা এই জিনিস দিয়েই রিকশাওয়ালার ‘কুমতলব’ থেকে বাঁচল কিশোরী

উত্তম কুমারের এই ডায়েরি নিয়েই ওঠে একাধিক প্রশ্ন। কেন তিনি এভাবে আগে থেকে বিশ্রামের কথা লিখে রেখেছিলেন? তবে কি অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি? অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন? নাকি টের পেয়েছিলেন এগিয়ে আসছে শেষের দিন? এই প্রশ্নগুলির উত্তর আর মেলেনি কোনওদিনই। একরাশ রহস্য নিয়েই বিদায় নেন বাঙালির মহানায়ক।