বিমান ওড়ার আগে ইঞ্জিনে ছুঁড়ে দেওয়া হয় আস্ত মুরগি! এর কারণ কী? জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি বিস্তারিতভাবে জানার পর অবাক হয়ে যান সকলেই। এমনকি, সেগুলি ঘটানোর পেছনে থাকা কারণগুলিও অজানা থাকে সবার কাছে। এমনিতেই বর্তমান সময়ে বিমান চড়েন নি এমন মানুষ কার্যত খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মূলত, যত দিন এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিমানযাত্রীদের সংখ্যা। আকাশপথে সফরের ফলে দূরের গন্তব্য খুব সহজে এবং অল্প সময়ে অতিক্রম করা যায়।

যার ফলে এখন বিদেশযাত্রাও মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সম্পন্ন হয়। এমনকি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও পৌঁছে যাওয়া যায় খুব সহজেই। তবে, বিমান সফরের সময়ে থাকে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। প্রায়শই বিভিন্ন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবর উঠে আসে খবরের শিরোনামে। যেগুলির মধ্যে অধিকাংশই হয় প্রাণঘাতী। এমনকি, বিমানের ইঞ্জিনে পাখির সাথে সংঘর্ষ লেগেও অনেক ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ ঘটে যায়।

এমতাবস্থায় যেহেতু, বিমানযাত্রার সময়ে কয়েকশ যাত্রী একইসাথে সফর করেন সেক্ষেত্রে প্রতিটি যাত্রা শুরুর আগেই বিমানের সমস্ত যন্ত্রাংশ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষাও করা হয়। মূলত, যাত্রীদের জীবনের কথা ভেবেই দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তাই মধ্যে একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানলে নিশ্চিতভাবে অবাক হয়ে যাবেন।

মূলত, বিমানটিকে উড়ানের আগে তার ইঞ্জিনে চিকেন গানের মাধ্যমে মুরগি নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যেটি অনেকেরই অজানা। তবে, সেই কারণটিই আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করা হল। মূলত, যাত্রীদের সুরক্ষাতেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

Jet engine KLM 768x510 1

পাখিদের দ্বারা উড়ানকালে হতে পারে সমস্যা: অনেক সময়ে আকাশে উড়ানকালে বিমানের সাথে পাখির ধাক্কা লেগে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি পাখির কারণে বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীর জীবন বিপন্ন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পাখির ধাক্কায় বিমানের ইঞ্জিন যাতে কাজ করা বন্ধ না করে সেটি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিমান প্রস্ততকারী সংস্থা সিমুলেটর ব্যবহার করে। পাশাপাশি, উড়ানের সময়ে বিমানের ইঞ্জিনের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগলে ঠিক কি ঘটনা ঘটতে পারে তাও পরীক্ষা করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর