বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিদিকে বলোর প্রচারে গিয়ে হিতে বিপরীত অবস্থা হলো বারুইপুর পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে এক টোটো মালিক অভিযোগ জানান যে রাস্তায় টোটো নামানোর জন্য তিনি তৃণমূলের ইউনিয়নকে টাকা দিয়েছেন, কিন্তু তার কাজ এখনো করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু টোটো মালিকের এই অভিযোগ জানানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার রং পাল্টায়, টোটো নামানো অনুমতি পেয়ে যান ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয় এই টোটো মালিক আরও দাবি জানিয়েছেন যে একইসঙ্গে টাকা ফেরতের আশ্বাসও পেয়েছেন উনি।
এই টোটো মালিকের নাম আজেদ আলি মণ্ডল। দিদিকে বলোর প্রচার চলাকালীন তিনি তৃণমূল বিধায়কের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান, টোটো নামাতে চেয়ে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের ইউনিয়নকে। কিন্তু এই টাকা দেওয়ার পরেও এই রুটে টোটো নামানোর অনুমতি তো তাঁকে দেওয়াই হয়নি, পাশাপাশি তার টাকা ফেরতও দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারুইপুরে হরিহরপুরে দিদিকে বলোর প্রচারে গিয়েছিলেন। তাঁকে সামনে দেখতে পেয়ে টোটো মালিক আজেদ আলি মণ্ডল নিজের যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল পরিচালক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। তার সম্পূর্ণ বিবৃতি শুনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা একেবারেই আবশ্যিক নয়। দলের তরফে বিষয়টির তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, কেনইবা টাকা দেওয়া হবে।’
তবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার সুরাহা পেয়ে যান টোটো মালিক। রুটে টোটোর চালানোর অনুমতি পত্র দেওয়া হয় আজেদ আলি মণ্ডলকে। তিনি দাবি জানিয়েছেন, ইউনিয়নের তরফে তাঁকে টাকা ফেরানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।