একি কাণ্ড! মাঝরাতে দিঘার হোটেল ফাঁকা, পর্যটকদের রাস্তায় নামিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ

Published on:

Published on:

Digha extreme questions about securit severa tourists removed from hotel

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দিঘার (Digha) হোটেলে মাঝরাতে পুলিশের হানা। দীঘার হোটেলে ধুমধুমর কান্ড নিয়ে তিনটি হোটেলে তালা লাগালো দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সূত্রের খবর হোটেলে মালিকের সঙ্গে বছর জেরে এই ঘটনা। জানা যায় ওল্ড দিঘা শ্যামসুন্দর আবাসনে কিছু বকেয়া টাকা ছিল সেই টাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। সেই নিয়ে হোটেলের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়। ঘটনা এতটাই উত্ত্যক্ত হয়ে ওঠে যে, তিনটি হোটেলে তালা লাগিয়ে দিলেন দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীরা।

দিঘায় নিরাপত্তা নিয়ে চরম প্রশ্ন, হোটেল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল একাধিক পর্যটককে (Digha)

সূত্রের খবর, দিঘার (Digha) হোটেলগুলিতে আসা পর্যটকদের পিছু করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেই কর দেয়নি তিনটি হোটেল। সেই হোটেলগুলিতে নোটিশ পাঠানোর পরও সেখান থেকে কোন রেসপন্স আসেনি। সেই করের টাকা না দেওয়ায় দিঘার তিনটি হোটেলের তালা ঝুলানো হয়। এছাড়া এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে যান দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা।

এই ঘটনার বিষয়, ওল্ড দিঘা (Old Digha) হোটেল শ্যামসুন্দর আবাসন, নয়নতারা হোটেলসহ একাধিক হোটেলে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ জানান, পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয় সেই টাকা এই হোটেলগুলো দেয়নি। পাশাপাশি তাদের নোটিশ দিয়ে জানানো হয়। কিন্তু সেখানেও তারা সক্রিয় না হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Digha extreme questions about securit severa tourists removed from hotel

আরও পড়ুন: খেজুরে বেশি পুষ্টি শুকনো ডুমুরের কম ক্যালোরি- আপনার জন্য কোনটি ভালো, জানুন…

কিন্তু এই ঘটনার বিষয় ব্যবসায়ীরা জানান, কোন কারনে সরকারি কর জমা করতে পারেননি। তাই বলে পর্যটকদের মাঝরাতে বের করে দেওয়াটা উচিত হয়নি। কারণ এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এছাড়াও এই ঘটনা পরিপেক্ষিতে পর্যটকদের অভিযোগ, তাদের খাবার পর্যন্ত দাওয়া হয়নি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল গুলিকে খোলার ব্যবস্থা করে। এছাড়াও বর্তমানে যে তিনটি হোটেলে তারা লাগানো হয়েছে সেগুলি হল- শ্যামসুন্দর আবাসন, নয়ন তারা, আসিকি। কিন্তু পরে এসে এই তিনটি হোটেলে তালা খুলে দেয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি পাল্টা দাবি করেন কত দু বছর ধরে একটি স্বাগত নামের পোর্টালের মাধ্যমে এই ট্যাক্স কালেকশন করা হয়। সে ক্ষেত্রে দিঘার বুকে বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে তাদেরকে বারবার এই সম্পর্কে সচেতন করার পরও তারা ট্যাক্স জমা করেনি। তবে এইভাবে পর্যটকদের হ্যারাস করা উচিত হয়নি।