বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইঁদুর দৌড়ের ব্যস্ত জীবন থেকে সাময়িক বিরতি পেলে কিংবা সপ্তাহের শেষে দুদিনের ছুটিতে বরাবরই বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের জায়গা দিঘা (Digha)-মন্দারমণি (Mandarmoni)। কিন্তু এই সমুদ্র সৈকতই এবার হয়ে উঠছে মধুচক্রের আঁতুরঘর। এমনকি পুলিশি অভিযানের পরেও দেহ ব্যবসার এই চক্র বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই।
দিঘায় (Digha) মধুচক্রের রমরমা
স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, সপ্তাহের শেষে বেশিরভাগ পর্যটক দিঘায় (Digha) ঘুরতে আসছেন ঠিকই কিন্তু এই সময় সমুদ্র সৈকত গুলিতে তেমন ভিড় নজর পড়ে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শনি-রবি উদ্দাম পার্টি চালানোর পর সবাই আবার ফিরে আসে যে যার বাড়িতে। আর এই ভাবেই দিঘা-মন্দারমণির মতো পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে হাতিয়ার করেই সপ্তাহের শেষ দিনে চলছে দেহ ব্যবসার মতো বেআইনি কার্যকলাপ ।
যদিও এই মধুচক্র ভাঙতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ প্রশাসন-ও। যার জন্য লাগাতার অভিযান চলছে এই সমস্ত এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর দিঘা-মন্দারমণিতে অভিযান চালিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বড়সড় মধুচক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশি অভিযান শুরু হতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোনোর মতো একে একে বেরিয়ে আসছে এই সমস্ত অবৈধ কারবারের খুঁটিনাটি। যার জেরে কালিমালিপ্ত হচ্ছে সৈকত সুন্দরী দিঘার এত দিনের পুরনো ঐতিহ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মন্দারমণির দুই হোটেলে মধুচক্রের পর্দাফাঁস হওয়ার পর ওল্ড দিঘার একটি হোটেলেও মধুচক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার ভোগান্তির শিকার লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা! শনি-রবি বাতিল শিয়ালদহ লাইনের একগুচ্ছ ট্রেন
সেখানে পুলিশের গোপন অভিযানে ছয় যুবতীকে পাকড়াও করা গেলেও তাঁদের পৌঁছানোর আগেই হোটেলের ম্যানেজার-সহ কর্মীরা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। এছাড়া কয়েকদিন আগে দু’দফায় মন্দারমণিতে মধুচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে।
কীভাবে চলছে এই মধুচক্র?
সূত্রের খবর, একদল অসাধু হোটেল মালিক টাকার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে যুবতীদের এনে দেহ ব্যবসার কাজে লাগায়। এরপর মোটা টাকার দিয়ে ওই যুবতীদের হোটেল রুমে আসা পর্যটকদের কাছে পাঠানো হয়। এমনকী, জানলে অবাক হবেন মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে পছন্দমতো যুবতীও পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। আর আবার এই সমস্ত অভিযোগ আসতেই তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে দিঘার পুলিশ প্রশাসন।