দিঘায় এবার দ্বিগুণ মজা! বদলে যাবে আগের রূপ, সমুদ্রে নামার আগেই ‘হাঁ’ হয়ে যাবেন আপনিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সৈকত শহর দিঘা (Digha) প্রত্যেক বাঙালির কাছেই খুব প্রিয়। বছরভর দিঘায় লোকসমাগম হয়ে থাকে। উইকেন্ড এর ছুটি কিংবা কোনও ভ্যাকেশন, সুযোগ পেলেই বাঙালি হয়ে ওঠে দিঘামুখী। সস্তায় সৈকত শহরে বেড়ানোর আনন্দ থেকে কেউ বঞ্চিত হতে চান না। বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সাথে কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন হল দিঘা।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দিঘাকে। আলোকসজ্জায় নতুনভাবে সেজে উঠেছে এই সৈকত শহর। এছাড়াও পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে দিঘায় তৈরি করা হচ্ছে মন্দির। এরই মধ্যে আরও একটি সুখবর শোনো গেল। এবার দিঘা থেকেই পেতে পারেন বিদেশের মজা। বিদেশি পর্যটনস্থানের আদলে দিঘায় তৈরি করা হচ্ছে নতুন পার্ক।

আরোও পড়ুন : দুর্নীতি ঠেকাতে নয়া উদ্যোগ পর্ষদের! D.El.Ed-এ আসছে বড়সড় বদল, আপডেট গেল হাইকোর্টেও

এবার দিঘায় সিঙ্গাপুরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে আন্ডার ওয়াটার পার্ক। প্রশাসন খুব শীঘ্রই শুরু করবে জায়গা চিহ্নিতকরণের কাজ। দিঘায় পর্যটকদের আরো আকর্ষণ করতে এই নতুন পার্ক গড়ে তোলা হবে। এই আন্ডারওয়ার্ল্ড পার্কের মাধ্যমে সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকেরা। জানা যাচ্ছে, হিডকো এই আন্ডার ওয়াটার পার্ক তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে।

আরোও পড়ুন : আসছে মাস্কড আধার! ব্যাংকের তথ্য এবার থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, দেখুন কীভাবে বানাতে হয় এই কার্ড

সিঙ্গাপুরের আন্ডারওয়াটার পার্কের আদলে তৈরি এই পার্কে ভ্রমণের সময় সমুদ্রের নিচের সব প্রাণীদের দেখা যাবে বলেও দাবি করা হয়েছে। পুরীর মন্দিরের আদলে দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর শুরুর দিকেই উদ্বোধন হতে পারে এই মন্দিরের। ফলে, দিঘাতেও পূণ্যার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করবে।

whatsapp image 2023 09 20 at 10.14.42

পর্যটকদের আকর্ষণ করতে প্রশাসনের তরফ থেকে ঢেলে সাজানো হয়েছে দিঘাকে। বলা বাহুল্য, আট থেকে আশি সকলের জন্যই থাকছে বিনোদন। একদিকে যেমন তৈরি করা হয়েছে মেরিন ড্রাইভ, অন্যদিকে, দীঘার আকর্ষণ বাড়িয়েছে বিশ্ব বাংলা পার্ক, ঢেউ সাগর পার্ক। এবার আন্ডার ওয়াটার পার্ক নয়া পালক যোগ করতে চলেছে দিঘার মুকুটে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর