বাংলাহান্ট ডেস্ক : সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। কিন্তু সৈকত শহর দিঘায় দুর্যোগের লেশমাত্র নেই। সেখানে ঝকঝকে আকাশ। যদিও, দিনকয়েক আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছিল রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘাতেই। তবে, এখন হঠাৎই যে আবহাওয়া মুড বদল করেছে তা বলাই যায়।
ইতিমধ্যেই ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছেন পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকত জুড়ে যেন শুধুই কালো মাথার ভিড়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফলে হোটেলে বন্দি থাকা পর্যটকরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বিক্রিবাটাও ভালোই চলছে। সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত চত্ত্বর। ফলে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। দুশ্চিন্তা কেটেছে হোটেল ব্যবসায়ীদেরও।
আরোও পড়ুন : ‘শিবশক্তি’তে ফিরছে ভয়ঙ্কর রাত! পাকাপাকিভাবে চাঁদেই রয়ে গেল বিক্রম, প্রজ্ঞান; ফিরল না চন্দ্রযান-৩
হোটেল ব্যবসায়ী মানিক দাস বলেন, ‘অবিরাম বৃষ্টির কারণে দিঘায় সেইভাবে পর্যটকদের দেখা নেই। পর্যটক কম থাকায় হোটেল বুকিং খুব কম হয়েছে। তবে আজ দুপুরের পর থেকে কিছুটা বুকিং বেড়েছে। পুজোর সময় এই ধরনের আবহাওয়ায় ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। আশার আলো দেখছি। এখন আবহাওয়া উপর সব কিছু নির্ভর করছে।’
আরোও পড়ুন : তিস্তার জলে ভেসে এসেছিল মর্টার সেল! কুড়ুল দিয়ে চাপ দিতেই মুহূর্তে মৃত্যু ১ শিশুর, আহত একাধিক
পাশাপাশি এক স্থানীয় ব্যবসায়ী সুদাম দাসের কথায়, ‘আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, লাগাতার কয়েকদিন ধরে ঝড় বৃষ্টি হবে দিঘায়। পুজোর আগে আবহাওয়া দফতরের এই ধরণের সংবাদ শুনে ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। তবে আজ দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায় আশার আলো দেখছি।’
প্রসঙ্গত, সামনেই পুজো, আর পুজো মানেই বঙ্গবাসীর অন্যতম গন্তব্য দিঘা। তাই পুজোর আগেই আবহাওয়া ঝকঝকে হতেই মুখে হাসির রেখা ফুটেছে পর্যটকদের। বাঁকুড়া থেকে ঘুরতে যাওয়া বিমল হাজরা জানান, ‘আজ সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও, দুপুরের পর রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় হোটেল থেকে বেরিয়ে দিঘার সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করতে পারছি।’