বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে বিপুল বকেয়া টাকার হিসেব নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সভাঘর থেকে কেন্দ্রের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতাকে একহাত নিলেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, ‘ দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আম্ফান সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা নয় বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন সেই হিসেবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবে আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? কেন? অন্য রাজ্য তো কান্নাকাটি করে না, কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে। এসব দাবি খালি এই রাজ্যে। সবসময় মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন, আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারেনা এসব?’
সেই সঙ্গেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা এবং শাসন ব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করতে ভোলেননি দিলীপ ঘোষ। ‘বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়। বাংলাদেশে অপরাধ করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। দেশের সর্বত্র অপরাধ করে এসে বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেরোরিস্টদের হাব হয়ে গেছে। সমাজ বিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য তা এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। কোনো খুন হলেই বিজেপির হাত দেখেন। এখন নিজেদের পার্টির লোক নিজেদের মারছে। প্রত্যেক এমএলএ এমপি নিজেদের নেতারাই আতঙ্কে ভুগছেন। পার্টির মধ্যে লুটপাট হচ্ছে।’ এরপরই ১১ বছর ধরে পুলিশ মন্ত্রী থাকার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা পাওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি নেতার এই বিস্ফোরক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অবশ্য কোনও পালটা জবাবই এখনও পাওয়া যায়নি তৃণমূলের তরফে।