দিদির সর্ষের মধ্যেই ভুত! সিঙ্গুরে ভেড়ি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে একহাত নিলেন দিলীপ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার মাছের ভেড়িতে বদলাতে চলেছে টাটার স্বপ্নের ন্যানো কারখানার জমি। ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গেছে মাটি কাটার কাজ। কিন্তু তিন চার ফসলী জমিতে এই ভেড়ি প্রকল্পের বিরোধিতায় মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।

এদিন একটি ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ লেখেন, ‘টাটা ন্যানো থেকে মাছের ভেড়ি অবধি… সিঙ্গুরে কৃষকদের তিন ফসলি জমির পরিবর্তে এক টুকরো কাগজ আর ইঁট, কংক্রিটের জায়গা ফেরত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যেখানে এখন শুধুই কাশ ফুল জন্মায়। চাষের জমিতে ভেরি এবং প্রকৃত ভেরি লুট! যে মানুষগুলি তাঁকে ভরসা করেছিলেন তাঁদের আর কত বোকা বানাবেন দিদিমণি? এই লেখাটির সঙ্গে ২০০৮ সালে সিঙ্গুর আন্দোলন, ২০১৯ সালে সিঙ্গুরের জমিতে মমতার সর্ষের বীজ ছড়ানো এবং ২০২২ সালে একই জমিতে ভেড়ি কাটার একটি কোলাজ ছবি পোস্ট করেন দিলীপ।

সিঙ্গুরে টাটাদের ফেলে যাওয়া জমিতে আপাতত মাছ চাষেরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। এই ব্যাপারে চাষীদের সবরকম সাহায্যই করছে রাজ্য। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধারা জানিয়েছেন, আগামী ৩ বছর মাছের চারা, খাবার, সার সবই দেওয়া হবে সরকার থেকেই। তিনি আরও জানান,’কারখানার ভিতরের নীচু এবং জলা জমিতেই মাছ চাষ করা হবে।

dilip ghosh

চাষিরাই উপকৃত হবেন এই কাজে। হুগলির অফিসে চাষিদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ৩ বিঘা বা তার বেশি জমিতে সরকারের তরফে পুকুর খনন করে দেওয়া হবে চাষিদের। মাছ চাষও চাষ। ওই জমিকে চাষের যোগ্যই বানাচ্ছি আমরা।’ একই সঙ্গে ওই জমিতে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পও চলবে বলে সরকার সূত্রে দাবি।

বিরোধীদের অবশ্য দাবি, ওই জমিকে চাষের যোগ্য করে তুলতে না পেরে ব্যর্থতা ঢাকতেই ভেরির আড়ালে লুকোতে চাইছে রাজ্য। যে সিঙ্গুরে একসময় গড়ে ওঠার কথা ছিল টাটা ন্যানোর বিরাট কারখানা, সেখানেই এখন হতে চলেছে মাছ চাষ। পুরো ব্যাপারটির পিছনে অবশ্য মমতার ছড়ানো সর্ষের মধ্যেউ ভুত খুঁজে পাচ্ছেন বিরোধীরা। টাটার স্বপ্নের সিঙ্গুর কি তবে সত্যিই বদলাতে চলেছে আঁষটে গন্ধের মাছের ভেড়িতে? সেই উত্তর সময়ই দিক বরং।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর