পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক লড়াই একবারে জম জমাট রূপ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে তা অন্য রাজ্যের নির্বাচনে সাধারণত দেখা মেলে না। যেহেতু হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন তাই এখন এক মুহূর্ত নষ্ট করতে রাজি নয় রাজনৈতিক পার্টিগুলি। এই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কার প্রভাব বেশি, কোন পার্টি জিতবে এবং আগামী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে এই সমস্ত আলোচনা এখন সর্বত্র।
জানিয়ে দি, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে মুখ মমতা ব্যানার্জী হলেও বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করা হয়নি। এই কারনে বিজেপি জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এই নিয়ে বেশ আলোচনা দেখা গেছে বঙ্গরাজনীতিতে। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দিলীপ ঘোষ এর নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে স্বয়ং দিলীপ ঘোষের মতামত কি তা এখন সামনে এসেছে। আসলে এক সাংবাদিক দিলীপ ঘোষের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে উনাকে বেশকিছু প্রশ্নঃ জিজ্ঞাসা করেন।
সাংবাদিক: শুনলাম ব্রিগেডে মিঠুন দা আসবেন?
দিলীপ ঘোষ: আমি জানি না, তবে অনেকেই আসবেন।
সাংবাদিক: মিঠুন দা কি মুখ্যমন্ত্রী মুখ হবেন?
দিলীপ ঘোষ: এটা তো পার্টি ঠিক করবে। আমার কাজ পার্টিকে ওই স্থানে পৌঁছানো।
সাংবাদিক: একের পর একজন আসছেন, সবকিছু পার্টির হাতে থাকলে আপনার হাতে কি থাকবে?
দিলীপ ঘোষ: দেখুন এটা প্রকৃতির নিয়ম। গঙ্গা উৎপত্তিস্থলে ছোট হিসেবে থাকলেও গঙ্গাসাগরে এসে অনেক বড়ো হয়ে গেছে।
সাংবাদিক: কিন্তু দিলীপ দার পরিশ্রমের ফল কি হলো?
দিলীপ ঘোষ: সবাই কি নিজের জন্য পরিশ্রম করে। কেউ পরিবারের জন্য করে, কেউ দেশের জন্য করে,কেউ কেউ নিজের জন্যেও করে।
সাংবাদিক: আপনাকে যদি মুখ্যমন্ত্রী পদের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে আপনি সেটা গ্রহণ করবেন?
দিলীপ ঘোষ: এতদূর অবধি আমরা এসেছি। আমার সংগঠন আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা পালন করেছি। পরেও যা দায়িত্ব দেবে সেটা যথারুপ পালন করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করবো।
সাংবাদিক: তাহলে এটা আমরা বলতে পারি যে দিলীপ ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে সেটা উনি গ্রহণ করবেন।
দিলীপ ঘোষ: এবার পার্টি কাকে কি পদে বসাবে সেটা কেউ বলতে পারে না।
সাংবাদিক: এই যে খেলা হবে এটা কি হিন্দু বনাম মুসলিম টিমের মধ্যে হবে?
দিলীপ ঘোষ: আমার এরকম কিছুই মনে হয় না। তবে এখানে অবশ্যই রাষ্ট্রবাদের ইস্যু উঠে আসবে।