বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বাংলা শেখার বিশাল আগ্রহ তাঁর। পূর্বে ব্যাঙ্কে কাজ করার সময় থেকেই বঙ্গ যোগাযোগ। রাজ্যপাল জানান, ছোট থেকেই বাংলার প্ৰতি প্রবল ঝোঁক তাঁর। কিন্তু কোনোদিন সেভাবে আর বাংলাটা শেখা হয়ে ওঠেনি। তবে এবার বাংলা শিখেই ছাড়বেন রাজ্যপাল। সেইমত আজ সরস্বতী পুজোর দিন তাঁর হাতেখড়ির কথাও রয়েছে। জানা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই হবে সেই অনুষ্ঠান।
অন্যদিকে, এই নিয়েও কিন্তু শুরু রাজনৈতিক চৰ্চা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্য, “অবশ্যই বাংলা শেখা উচিত। বাংলায় যদি কথা বলেন, আমরা খুশি হব। বাংলা সাহিত্য পড়তে পারেন, আরও ভাল লাগবে।” তবে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বিশেষ দিলীপের বিশেষ বার্তা, ‘যদি ভুল মাস্টারের হাত ধরে বাংলা শেখেন, তাহলে তো ভুলই শিখবেন। ঠিকঠাক মাস্টার চয়ন করুন।’
প্রসঙ্গত, পূর্বে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমলে রাজ্যের শাসকদলের সাথে তাঁর সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো ছিল না। যেকোনো বিষয়েই বর্তমান ছিল রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্যের বেশ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। সেই নিয়েও জোর চৰ্চা বিরোধী মহলে।
এই আবহেই এদিন তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা মমতার বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান যে খুব একটা ভালো নজরে দেখছেন না বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান সৈনিক দিলীপ ঘোষ, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, পূর্বে বিরোধী দল বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “বিজেপি বাংলার শত্রু, বাংলা ভাষার শত্রু। রাজ্যপাল যদি বাংলা শিখতে চান তবে তাঁকে উৎসাহিত করা উচিত। কিন্তু তা না করে উল্টে বাংলা শেখার বিরোধিতা করছে বঙ্গ বিজেপি। ওরা বাংলা তথা বাঙালির কলঙ্ক।”