দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বরাবরই তার বেলাগাম কথাবার্তার জন্য বাংলার রাজনীতিতে পরিচিত। একাধিক ইস্যুতে তিনি বারংবার মমতা ব্যানার্জির সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। এবং সম্প্রতি তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে বাংলায় বিজেপির শোচনীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে শাসকদল আমাদের কর্মীদের ওপর যেভাবে প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছিল, প্রথমে আমরা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের এই দৃঢ় মনোভাব সেই সময় বাংলার মানুষ পছন্দ করে এবং মানুষের মনে আমরা বিশ্বাস গড়ে তুলতে সফল হয়েছিলাম।
আমি নিজেও একাধিকবার আন্দোলনে রাস্তায় নেমে ছিলাম। ফলে মানুষও আমাদের পেছনে ছিলো। আমাদের আশীর্বাদ করেছিলো।কিন্তু বর্তমানে বাংলার জনগণের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়েছে। রাজ্যের মানুষ বর্তমানে চায় যে, বিজেপি দল মাঠে নেমে আন্দোলন করুক। আমাদের উচিত দলের যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া।”
এরপর দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, “রাস্তায় নেমে যদি আমরা আন্দোলন না করতে পারি, তবে বাংলার মানুষ আমাদের বিরোধী দল হিসেবে মানবে কেন?” এছাড়াও তিনি জানান, “বর্তমানে আমাদের দলে অনেক কিছুর অভাব দেখা দিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যানিং থেকে শুরু করে মনোবল সব কিছুরই অভাব রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে হারের ফলে বিজেপি দলের বঙ্গ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় আর এর পর থেকেই একাধিক নেতার দলবদলের পালা শুরু হতে থাকে। মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জি থেকে শুরু করে বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারা তৃণমূল দলে যোগ দেওয়ার ফলে স্বভাবতই দুর্বল হয়ে পড়ে রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি, বালিগঞ্জ ও আসানসোল উপনির্বাচনে গো হারান হারের পর থেকেই সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা থেকে দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের দেখা যায় দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে আর এদিন দিলীপের এই মন্তব্য দলকে আরো চাপে ফেলতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।